সৌম্যের লড়াই ‘নিজের জায়গা’ ধরে রাখার
এমনিতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু সৌম্য সরকারকে অনেক সময় খেলতে হয়েছে মিডল অর্ডারে, এমনকি লোয়ার মিডল অর্ডারেও। ৪৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সৌম্য ব্যাট করেছেন আলাদা সাতটি পজিশনে। কখনো নিজের দোষে ধরে রাখতে পারেননি পছন্দের পজিশন, কখনো পড়েছেন পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে। এমন সব কারণে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হলেও টি-টোয়েন্টিতে যেন নিজেকে মেলে ধরা হচ্ছিল না তার। ক্যারিয়ারের এই ধাপে এসে সৌম্যর আপাতত লড়াই তাই নিজের পছন্দের জায়গা ধরে রাখার।
সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সৌম্য পেয়েছিলেন পছন্দের তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশনে। স্বস্তির জায়গায় নেমে খেলেছেন ৩২ বলে ৬২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
দলের প্রয়োজনে সব পজিশনে খেলার প্রস্তুতির কথা বলেন যেকোনো খেলোয়াড়ই। কিন্তু বাস্তবে সবারই থাকে নিজের একটা জায়গা। সৌম্যের সেই জায়গাটা এক থেকে তিনের মধ্যে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবার তিনে নামার সুযোগ পেয়ে তার প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল জায়গাটা ধরে রাখার, ‘আমি সবসময় উপরেই খেলেছি। মাঝে মাঝে যখন দলের প্রয়োজন হয়েছে ৬/৭ নম্বরে খেলেছি। যে সময় যেখানেই খেলি নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করি। হয়তো ছয়-সাতে ওভাবে খেলতে পারিনি। অনেকদিন পর আজকে তিনে ব্যাটিং করেছি। ইচ্ছে ছিল নিজের জায়গা আবার ধরার।’
জায়গা ধরে রাখার জন্য সৌম্যের লড়াই তরুণদের সঙ্গে। নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো তরুণরা পারফরম্যান্স দিয়ে চাপ দিচ্ছেন। তার জানা আছে, একটু এদিক সেদিক হলেই ফের নড়ে যাবে টপ অর্ডার পজিশন, ‘সবাই রান করলে দলের জন্য ভালো। দলের মধ্যে সবার প্রতিযোগিতা বাড়ে। যে রান করবে দলের জন্য ভালো হবে। অবশ্যই নাঈম ভালো খেলেছে, অনেকদিন পর আমি তিনে নেমে ভালো খেললাম। আমার আগেরজায়গা ধরার জন্য। যে ভালো খেলবে সেই থাকবে।’
পাকিস্তানে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬ ও ৭ নম্বরে সুযোগ পেয়ে মাত্র ৫ বল করে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার আগে ভারতে দুই ম্যাচে তিনেই খেলেছিলেন। ৩০ ও ৩৯ রানের দুই ইনিংস ডানা মেলেও উড়তে পারেনি। নিজে বুঝেছেন ভারতে আরেকটু বড় করতে পারলে পাকিস্তানে জায়গাটা অমন নড়ে যেত না, এখন প্রতিটা ম্যাচে তাই পরের ম্যাচের জায়গা ধরার লড়াই সৌম্যের, ‘পাকিস্তানে টপ অর্ডারে সুযোগ পাইনি। ভারতে তিনেই খেলেছিলাম, ওখানে ৩০-৪০ রান যা করেছিলাম, সেগুলো বড় করতে পারলে হয়তো পাকিস্তানে নিজের জায়গায় থাকতে পারতাম। তো চেষ্টা করছি ধরে রাখার, যেন পরের ম্যাচটি এখানেই খেলতে পারি।’
Comments