ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু এত বেশি কেন?

Coronavirus
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষায় মাস্ক পরছেন ইতালির নাগরিকরাও। ছবি: রয়টার্স

ইতালিতে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। দেশটিতে ১২ হাজার ৪৬২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৮২৭ জন। ইতালিতে মৃত্যুর হার এত বেশি হওয়ায় তা প্রশ্নের উদ্রেক করছে।

চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা এখন ইতালিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এই রোগে আক্রান্ত হলে গড়ে তিন দশমিক চার শতাংশ মানুষ মারা যান। যেখানে ইতালিতে এই হার পাঁচ শতাংশ।

লাইভ সাইন্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে দেশটির জনসংখ্যায় প্রবীণদের সংখ্যাধিক্য। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালির বাসিন্দাদের প্রায় ২৩ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। দেশটিতে বসবাসরত মাঝবয়সী জনসংখ্যা ৪৭ দশমিক তিন শতাংশ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ৩৮ দশমিক তিন শতাংশ। দ্য লোকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালিতে যারা এই সংক্রমণে মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগের বয়স ৮০ থেকে ৯০।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজির সহযোগী অধ্যাপক অব্রি গর্ডন বলেন, মৃত্যুর হার সবসময় জনসংখ্যার হারের উপর নির্ভর করে।

ইতালির প্রবীণ জনসংখ্যার বিষয়ে গর্ডন বলেন, ‘কম বয়সী জনসংখ্যা বেশি এমন দেশগুলোর তুলনায় বয়স্ক জনসংখ্যা বেশির দেশে মৃত্যুর হার বেশি হবে।’

টেম্পল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ পাবলিক হেলথের এপিডেমিওলজিস্ট ক্রিস জনসন বলেন, ‘মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ জাতীয় পরিস্থিতি যাদের আছে করোনাভাইরাস তাদেরকে মারাত্মকভাবে অসুস্থ করে তোলে।’

জনসন বলেন, ‘আমরা সম্ভবত জানি না যে ইতালিতে কত মানুষ আসলে সংক্রমিত হয়েছে। খুবই অল্প লক্ষণ যাদের কিংবা কম বয়সীরা সাধারণত পরীক্ষা করতে যান না।’ জনসনের ধারণা সে হিসেবে ইতালিতে সত্যিকারের মৃত্যুর হার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর হারের কাছাকাছিই হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

13m ago