শিক্ষার্থীদের সতর্ক করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও আক্রান্তদের চিকিৎসা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। এ বিষয়ে সবার সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি, বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের যাতে নির্দেশনা ও পরামর্শ পাঠ করে শোনানো হয়। একইসঙ্গে তারা যেনো ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং এটির প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
নির্দেশনা ও পরামর্শে যা রয়েছে—
করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়ায়:
- এ ভাইরাস কোনো প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকে থাকে,
- এখন মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে থাকে,
- করোনাভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়,
- শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি, কাশি, কফ, থুতু) এবং
- আক্রান্ত ব্যক্তি সংস্পর্শে আসলে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়,
লক্ষণ:
- ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন লাগে,
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর,
- এছাড়া শুকনো কাশি, গলা ব্যথা হতে পারে; শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে; অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস/উচ্চ রক্তচাপ/শ্বাসকষ্ট/হৃদরোগ/কিডনি সমস্যা/ক্যানসার ইত্যাদি) থাকলে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়:
ব্যক্তিগত সচেতনতা—
- ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ),
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না,
- ইতোমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে,
- কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে (হাঁচি/কাশির সময় টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে);
- অসুস্থ পশু/পাখির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে,
- মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে,
- অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে হবে, বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে,
- জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজন ছাড়া এ সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুত্সাহিত করতে হবে,
- প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে হবে,
- প্রয়োজন ছাড়া যে কোনো জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে,
- অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সন্দেহভাজন রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়:
- অসুস্থ রোগীকে ঘরে থাকতে বলুন,
- মারাত্মক অসুস্থ রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলুন,
- রোগীকে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন,
- রোগীর নাম, বয়স, যোগাযোগের পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করুন এবং আইইডিসিআর এর করোনা কন্ট্রোল রুমে (০১৭০০-৭০৫৭৩৭) অথবা হটলাইন নম্বরে (০১৯৩৭-১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭-৭১১৭৮৪, ০১৯২৭-৭১১৭৮৫) যোগাযোগ করুন।
- করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন এবং অপরকে জানান।
Comments