কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতন, জেল-জরিমানার প্রতিবাদে মানববন্ধন

‘কোনো কথা ছাড়াই আমার স্বামীকে মারধর করতে শুরু করে’

‘কোনো কথা ছাড়াই আমার স্বামীকে মারধর করতে শুরু করে। মারতে মারতে হাতকড়া পড়িয়ে টানতে টানতে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। ডিসি অফিসে নিয়েও আমার স্বামীকে মারা হয়।’
কুড়িগ্রামে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ও ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ছবি: স্টার

‘কোনো কথা ছাড়াই আমার স্বামীকে মারধর করতে শুরু করে। মারতে মারতে হাতকড়া পড়িয়ে টানতে টানতে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। ডিসি অফিসে নিয়েও আমার স্বামীকে মারা হয়।’

আজ রোববার সকালে কুড়িগ্রামে আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মনসারিন মিতু কাঁদতে কাঁদতে এ কথা বলেন।

তার অভিযোগ, ‘আমাদের বাড়িতে কোনো তল্লাশি করা হয়নি। অথচ মাদক উদ্ধার দেখিয়ে আমার স্বামীকে জেল দিয়েছে— এটা ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র করেছেন কুড়িগ্রাম ডিসি সুলতানা পারভীন।’

কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, আতাউর রহমান বিপ্লব, সাংবাদিক রাজু মোস্তাফিজ, হুমায়ুন কবির সূর্য, ছানালাল বকসী, শ্যামল ভৌমিক, দুলাল বোস প্রমুখ।

তারা সাংবাদিক আরিফের নিঃশর্ত মুক্তি ও এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ও ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিক আরিফ মাদকদ্রব্য তো দূরের কথা তিনি ধূমপানও করেন না। জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সৎ বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সংবাদ প্রকাশ করায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আটক ও মারধর করে জেল-জরিমানা করেন। তার নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেটরা অবৈধভাবে সাংবাদিকের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে।

সাংবাদিক আরিফকে নিঃশর্ত মুক্তি ও অভিযুক্ত ডিসি ও ম্যাজিস্ট্রেটদের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামীকাল সোমবার থেকে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি দিবে বলেও মানববন্ধন থেকে হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের ভোকেশনাল মোড় এলাকায় বাড়ি থেকে আরিফকে তুলে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেয়।

প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, টাস্কফোর্সের মাদকবিরোধী অভিযানে গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়। সেসময় তার বাড়ি থেকে ৪৫০ এমএল দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয় বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৪ আনসার সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।

একই দাবিতে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় চত্বরে মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রফেসনাল সাংবাদিক প্লাটফর্ম পিজেএফ ও সাংবাদিক সমাজ। একই দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী, চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago