করোনাভাইরাসে মুঠোফোন ঝুঁকি

কানাডার টরেন্টো এয়ারপোর্টে মুঠোফোনে কথা বলছেন এক যাত্রী। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই তা মেনেও চলছি। কিন্তু, আমাদের মুঠোফোনটি কতটা নিরাপদ কিংবা সেটা কতটা পরিষ্কার রাখছি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাতের মুঠোফোনটি পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এই ভাইরাস ছড়াতে অন্যতম একটি ঝুঁকিপূর্ণ মাধ্যম হল মুঠোফোন। 

ডি-স্কাউটের এক গবেষণা অনুযায়ী, আমরা প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৬ শ বার মুঠোফোন স্পর্শ করি। আবার দ্য সিয়াটাল টাইমস বলছে, একটি মুঠোফোনের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ২৫ হাজার ১২৭টি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলের উপর দুই থেকে তিন দিন বাঁচতে পারে। ফলে আমাদের নিত্য ব্যবহার্য মুঠোফোনটি মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ, কথা বলার সময় মুঠোফোনটি আমাদের কান, নাক ও মুখকে স্পর্শ করে। সুতরাং মুঠোফোনের মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মুঠোফোন, কীবোর্ড ও ট্যাবলেট কম্পিউটার নিয়মিত পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছেন।

কিন্তু, মুঠোফোন কীভাবে নিরাপদ রাখবেন বা কীভাবে পরিষ্কার করবেন?

মুঠোফোন পরিষ্কার করতে ক্লিনার জাতীয় দ্রব্য সরাসরি ফোনে স্প্রে করা যাবে না। আবার এটি পরিষ্কার করতে ভ্যাকুয়াম ডিভাইস ব্যবহার করবেন না। এর পরিবর্তে প্রথমে মুঠোফোনটি বন্ধ করতে হবে। পরিষ্কার করার সময় চার্জে রাখা ঠিক হবে না।

আমেরিকান টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা এটিএন্ডটি বলছে, মুঠোফোনে জীবাণুনাশক ব্যবহারের আগে তা টিস্যুর মাধ্যমে সামনে ও পেছনে ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপর তা নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এজন্য ক্যামেরার লেন্স বা চশমা পরিষ্কার করার মতো কাপড় ব্যবহার করে সারাদিন বারবার মুঠোফোন পরিষ্কার করতে হবে।

সাবান-পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে মুঠোফোন পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছে গুগল।

বিশ্বের বৃহত্তম ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে বিনামূল্যে ইউভি আলো যুক্ত ফোন-স্যানিটাইজিং পরিষেবা সরবরাহ করছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অন্যান্য দেশেও এই সেবা চালু করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago