মুশফিকের সেঞ্চুরির পর আবাহনীর সহজ জয়

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম, চোট কাটিয়ে আড়াই মাস পর ক্রিকেটে ফিরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত পান ফিফটি, শেষে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শুরুতে পথ হারানো আবাহনী শেষ পর্যন্ত গড়ে বড় সংগ্রহ। দুর্বল পারটেক্সের পক্ষে এই রান তাড়া করতে গিয়ে লড়াই করাও সম্ভব হয়নি।
Abahani LTD
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম, চোট কাটিয়ে আড়াই মাস পর ক্রিকেটে ফিরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত পান ফিফটি, শেষে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শুরুতে পথ হারানো আবাহনী শেষ পর্যন্ত গড়ে বড় সংগ্রহ। দুর্বল পারটেক্সের পক্ষে এই রান তাড়া করতে গিয়ে লড়াই করাও সম্ভব হয়নি।

আজ রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড নতুন লিগও শুরু করল দাপটের সঙ্গেই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মুশফিকের দল। আবাহনীর করা ২৮৯ রানের জবাবে পারটেক্স থেমে যায় ২০৮ রানে।

সকালে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়েই বিপদে পড়েছিল আবাহনী। পারটেক্সের দুই পেসার রনি হোসেন আর জয়নুল ইসলাম দেখান ঝাঁজ। তাদের তোপে দুই ওপেনার লিটন দাস আর নাঈম শেখ ফেরেন শুরুতেই। ভেতরে ঢোকা বলে লিটনকে বোল্ড করে দেন রনি, জয়নুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাঈম।

ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর স্টাম্পও উড়িয়ে দেন জয়নুল। ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে চ্যাম্পিয়নরা। চারে নামা মুশফিককে সঙ্গ দিতে পারেননি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আফিফ হোসেনের কেউই। ৬৭ রানেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে আবাহনী। চরম বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলতে তখন লড়ছিলেন মুশফিক। সঙ্গী হিসেবে তিনি পান মোসাদ্দেককে।

দুজনের ১৬০ রানের জুটিতে পথ খুঁজে পায় আবাহনী। দলটির হয়ে প্রথমবার খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ১২৪ বলে ১১ চার, ৪ ছক্কায়  লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি করে মুশফিক থামেন ১২৭ রান করে।

শেষ দিকে নেমে ঝড় তুলে আবাহনীকে তিনশর কাছে নিয়ে যান সাইফউদ্দিন। মাত্র ১৫ বলে ৫ ছক্কায় ৩৯ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

২৯০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় ২০ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় পারটেক্স। তিনে নেমে সায়েম আলম রিজভি দারুণ কিছু শট মেরেছিলেন। কিন্তু থিতু হয়েও টানতে পারেননি ইনিংস।

অধিনায়ক তাসামুল হক, ধীমান ঘোষ, নাজমুল হোসেন মিলনরাও চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। আবাহনীর হয়ে বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা ৪ উইকেট নেন ৫৫ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভারে ২৮৯ (লিটন ০, নাঈম ০, শান্ত ১৫, মুশফিক ১২৭, বিপ্লব ১৪, আফিফ ৩, মোসাদ্দেক ৬১, সাইফউদ্দিন ৩৯*, তাইজুল ১৭*; রনি ১/৭২, জয়নুল ৩/২৮, শাহবাজ ১/৫৯, ইফতেখার ০/১৪, তাসামুল ২/২৯, মঈন ০/৬৫, মিলন ০/২১)

পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৮.৩ ওভারে ২০৮ (হাসানুজ্জামান ৮, আব্বাস মুসা ৪, রিজভি ২৪, তাসামুল ৪৩, মঈন ৫, ধীমান ৩৬, মিলন ৫৩, ইফতেখার ৩, শাহবাজ ৫, জয়নুল ১৪, রনি ১*;  সাইফউদ্দিন ১/৪২, রানা ৪/৫৫, সৈকত ১/৬, সানি  ১/২৫, তাইজুল ২/৩০, বিপ্লব ১/৪৪, আফিফ ০/৪)।

ফল: আবাহনী ৮১ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম।

Comments

The Daily Star  | English

Equity funds from foreign investors dip

Bangladesh received 41 percent lower equity capital from foreign investors in fiscal year (FY) 2022-23 compared to a year ago

2h ago