সৌম্য, মাহমুদউল্লাহদের আক্ষেপের দিন

শুরুতে রনি তালুকদার, শেষে নাহিদুল ইসলাম আর নাঈম হাসানের ব্যাটে জুতসই পূঁজি পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। রান তাড়ায় থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহরা।
Mahmudullah
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শুরুতে রনি তালুকদার, শেষে নাহিদুল ইসলাম আর নাঈম হাসানের ব্যাটে জুতসই পূঁজি পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে ওই রান টপকানো কঠিন কিছু ছিল না। কিন্তু রান তাড়ায় থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহরা। শেষ দিকে ঝড় তুলে দলকে কাছে নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গী হয়েছে হতাশা। 

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ফিফটিতে তামিম ইকবালের দল করে ২৫১ রান। ওই রান তাড়ায় এক পর্যায়ে আশা জাগিয়েও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স করতে পেরেছে ২৪২ রান , ম্যাচ হেরেছে ৯ রানে।

সকালে টস জিতে প্রাইম ব্যাংককেই ব্যাট করতে দিয়েছিল গাজী। চেপে ধরে পেয়েছিল সাফল্যও। দ্বিতীয় ওভারেই কোন রান করার আগে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়। আরেক প্রান্তে তামিম ছিলেন কুঁকড়ে, রান পেতে ধুঁকছিলেন। অনেক বল খেলে থিতু হওয়ার পর ধৈর্যচ্যুতি তার। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে তার ক্যাচ যায় শর্ট থার্ডম্যানে।

চারে নেমে রকিবুল হাসান ফেরেন দ্রুত। থিতু হয়েও টিকতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। তবে প্রাইমকে খেলায় রাখেন তিনে নামা রনি তালুকদার। ১০৪ বলে ৭ চার, ২ ছক্কায় ৭৯ রান করেন রনি।

১৫৫ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর দলের রান আড়াইশ ছাড়িয়ে যায় নাহিদুল ইসলাম-নাঈম হাসানের জুটিতে। সপ্তম উইকেটে দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৯৬ রান। ৪৩ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৪৩ করে অপরাজিত থাকেন ৫৩ রান। নাঈম ৬ বাউন্ডারি ৩৬ বলে করেন ৪৬ রান।

২৫২ রানর লক্ষ্য। উইকেট কিছুটা মন্থর হলেও শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের গাজীর জন্য কাজটা কঠিন ছিল না। কিন্তু শুরুটাই ভাল হয়নি তাদের। দলের ৫ রানেই আউট হয়ে যান জাকির হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি বেধেছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু ২৮ রান করে শরিফুলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।

সৌম্য খেলছিলেন সাবলীল, দিচ্ছিলেন বড় কিছুর আভাস। কিন্তু ফিফটির মাত্র ১ রান আগে নাহিদুল ইসলামের বলে বাজে অ্যাপ্রোচে বোল্ড হয়ে যান তিনি। মিডল অর্ডারে ইয়াসির আলি ফেরেন তড়িঘড়ি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ থিতু হয়েও দায়িত্ব সারতে পারেননি।  

শেষ দিকে নেমে মেহদী হাসান চার-ছয়ে ফের জাগিয়েছিলেন আশা। কিন্তু সঙ্গী না থাকায় তার চেষ্টা গেছে বিফলে। ৪৯ বলে ৩ ছয়, ৪ বাউন্ডারিতে করেন ৫৬ রান। 

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক:  ৫০ ওভার ২৫১/৬ ( তামিম ১৯  , এনামুল ০ , রনি ৭৯,  রকিবুল ৫, মিঠুন ২৭,  অলক ১৭  , নাহিদুল ৫৩*,  নাঈম ৪৬*  ;  নাহিদ  ০/২৮, হাসান ১/৪৫,  আরিফুল ০/৯,  নাসুম ২/৪০,  মেহেদী ০/২১ , মাহমুদউল্লাহ ৩/৫৩,  মুমিনুল ০/৯ , সৌম্য ০/৪৬)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স:   ৫০ ওভারে ২৪২/৯ (জাকির ৫,  সৌম্য ৪৯, মুমিনুল ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৩২, ইয়াসির ১,  আরিফুল ২০, আকবর  ৩১, মেহেদী  ৫৬*, নাসুম  ৪ , নাহিদুল ২, হাসান ৬*    ; মোস্তাফিজ  ২/৪২  , নাঈম ১/১৫  ,  রুবেল ০/৫৮, নাহিদুল ২/৩০, শরিফুল ১/৬৪ , অলক  ২/৩২)   

ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৯ রানে জয়ী।

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago