শেখ জামালের জয়ে নাসিরের ব্যাটে রান
বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছেন। এমনকি ছন্দহীনতায় ঘরোয়া ক্রিকেটেও আজকাল বসে থাকতে হয় ডাগআউটে। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছেন নাসির হোসেন। আর এ ব্যাটসম্যানের রানে ফেরার দিনে দারুণ জয় পেয়েছে তার দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৫৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে লিগে শুভ সূচনা করেছে দলটি।
ভালো অবদান রাখলেও ম্যাচ জয়ের অবশ্য নাসির নন। ওপেনার সৈকত আলী। ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। এরপর সতীর্থরা ভিত আরও শক্ত করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৬ রানের সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২১ রানের বেশি করতে পারেনি খেলাঘর।
সাভারের বিকেএসপিতে এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শেখ জামাল। ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। ব্যক্তিগত ৩ রানে আউট হন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সোহরাওয়ার্দী শুভর সঙ্গে সৈকতের ৮৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দল। এরপর অবশ্য দ্রুতই এ দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। তবে চতুর্থ উইকেটে নাসিরের সঙ্গে অধিনায়ক নুরুল হোসেন সোহানের ৯৬ রানের জুটিতে খেলাঘরকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দেয় শেখ জামাল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন সৈকত। ৭৯ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৬৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। আর ৫৭ বলে ৫৬ রান করেন নাসির। এদিন চারের চেয়ে ছক্কা মারায় মনযোগী ছিলেন তিনি। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
জবাবে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় খেলাঘর। কোনো জুটিই ছুঁতে পারেনি পঞ্চাশের কোটা। তবে এক প্রান্তে চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি। সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে তার ব্যাট থেকেই। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন আট নম্বর ব্যাটসম্যান মাসুম খান। শেখ জামালের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইলিয়াস সানি, সালাহউদ্দিন শাকিল ও সোহরাওয়ার্দী। ভালো বোলিং করলেও উইকেট পাননি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
Comments