‘বঙ্গবন্ধুর জন্য একদিন’

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। দিবসটিকে সামনে রেখে টুঙ্গিপাড়া থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে ১০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পারি দিচ্ছেন সিলেটের তরুণ কাজি সাহি। বঙ্গবন্ধুর সম্মানে তিনি এ পদযাত্রার নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধুর জন্য একদিন’।
কাজি সাহি।

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। দিবসটিকে সামনে রেখে টুঙ্গিপাড়া থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে ১০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পারি দিচ্ছেন সিলেটের তরুণ কাজি সাহি। বঙ্গবন্ধুর সম্মানে তিনি এ পদযাত্রার নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধুর জন্য একদিন’।

প্রাথমিক পরিকল্পনায় গতকাল সোমবার ভোররাত রাত ১২টা ১ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া থেকে হাঁটা শুরু করার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, গতকাল বিকাল থেকে সেখানে জনসাধারণের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিকাল ৩টার দিকেই বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন তিনি।

রাত ১১টায় টেকেরহাট পৌঁছে যাত্রা বিরতি দেন। আজ ভোর ৬টায় তিনি আবার যাত্রা শুরু করেন ঢাকার দিকে। দুপুর ২টার দিকে তিনি ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলা পার হন।

কাজি সাহি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দূরত্ব প্রায় দেড়শ কিলোমিটার হলেও হাঁটবো ঠিক ১০০ কিলোমিটার। টুঙ্গিপাড়া থেকে হেঁটে আড়িয়াল খাঁ সেতু পর্যন্ত ৯৯ কিলোমিটার পার হওয়ার পর বাকিটা পথ গাড়িতে যাব। শেষ এক কিলোমিটার হাঁটবো ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির উদ্দেশে।’

তিনি জানান, আজ রাত ১১টা থেকে ১২টা নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে পৌঁছে যাবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করে শেষ করবেন ‘পদযাত্রা’।

কাজি সাহি একজন সাইক্লিস্ট। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকরি করছেন তিনি। তার উদ্যোগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রথম যাত্রায় বিজয় দিবসে ৪৮ কিলোমিটার পথ হেঁটেছিলেন তারা। পরের বছর (২০১৯ সাল) বুদ্ধিজীবী দিবসে হেঁটেছিলেন ৪৯ কিলোমিটার পথ।

১০০ কিলোমিটার একক পদযাত্রা প্রসঙ্গে কাজি সাহি বলেন, ‘একা ১০০ কিলোমিটার হাঁটা কষ্টসাধ্য। তবে, বঙ্গবন্ধু শতসহস্রগুণ কষ্ট সহ্য করে আমাদেরকে দেশ দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনও দিয়েছেন। তার জন্মশতবার্ষিকীতে এটা আমার শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর ক্ষুদ্র একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’

Comments