বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি এবং সোনাতলা) আসনের উপনির্বাচনের প্রচারণার সময় বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি বহরে দুই বার হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলার চান্দিনা নোয়ারপাড়া ও তাজুরপারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির ১০ থেকে ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের গাড়ি বহরে থাকা দুটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি বাড়ির খড়ের পালায় আগুন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির।
একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ দুপুরে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে চান্দিনা নোয়ারপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সমর্থিত মোটরসাইকেল বহর থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার দুইটি মাইক্রোবাস, কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আমার নেতাকর্মীদের মারধর করে। এতে আমার ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’
‘তাদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছি’ যোগ করেন বিএনপি প্রার্থী।
তিনি আরও বলেন, ‘এরপরে চান্দিনা থেকে তাজুরপারা এলাকায় আসলে সেখানেও আরও ৫০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। সেখানে আমাদের একটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয় বলে খবর পেয়েছি। তাছাড়া সেখানে একটি বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাহাদারা মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘তাজুরপারা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আমাদের ৫-৬ কর্মীকে বিএনপির লোকজন মারধর করেছে। আমাদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।’
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন বলেন, ‘প্রথমে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোটরসাইকেল বহর থেকে বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা করে উপজেলার চান্দিনা নোয়ারপাড়া এলাকায়। পরে বিএনপির গাড়ি বহর থেকে আওয়ামী লীগের লোকজনের উপর হামলা হয় তাজুরপারা এলাকায়। এই ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও একটি বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।’
‘এই ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এখনো কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি,’ যোগ করেন ওসি।
পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘বিএনপির পথসভা হওয়ার কথা ছিল উপজেলার তিতপড়ল এলাকায়। পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল। সেখানে কিছু হয়নি। পথসভা শেষে ফেরার পরে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আগামী ২৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
Comments