ইয়র্কারে আগের মতো আত্মবিশ্বাস পান না মোস্তাফিজ
বল ভেতরে ঢোকাতে পারেন না, বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের মূল অস্ত্র বরাবরই ছিল অফ কাটার আর ইয়র্কার। মনমতো উইকেট পেলে কাটারে এখনো বেশ মুন্সিয়ানা দেখান। কিন্তু ইয়র্কার করা যেন ভুলতেই বসেছেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের খেলা না থকায় ফাঁকা সময়ে বোলিং নিয়ে আলাপে বললেন, ইয়র্কার করতে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন তিনি।
আজ বুধবার মিরপুর একাডেমি মাঠে বোলিং নিয়ে কাজ করতে এসেছিলেন মোস্তাফিজ। করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকার এই সময়টা কাজে লাগানোর ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু ফিটনেস নিয়ে কিছু কাজ করার পর সার্বিক পরিস্থিতির কারণেই মন বসল না কাজে।
খেলা আবার কবে মাঠে ফিরবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। বাড়ি যাবেন না-কি ঢাকায় কাজ করবেন, তা নিয়েও দোলাচল আছে মোস্তাফিজের মনে। এসবের মাঝেই নিজের বোলিং নিয়ে কিছু তেতো প্রশ্নের মধ্যে পড়তে হলো তাকে। তার মধ্যে বড় প্রশ্ন, কোথায় গেল মোস্তাফিজের ইয়র্কার?
যেকোনো প্রশ্নে অল্পকথায় কাজ সারা মোস্তাফিজ এই উত্তর দিলেন বেশ বড় করে, ‘আমার মনে হয়, কোনো একটা জায়গায় কিছু একটা... (সমস্যা হচ্ছে)। এখন আবার ভালো যাচ্ছে। আসলে ওইভাবে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি না। আরও অনুশীলন করা লাগবে। সবকিছু ঠিক আছে, আমার মনে হয় হাতটায় হালকা একটু ইয়ে (ভারসাম্য রাখার ঘাটতি) হয়েছে।’
‘আমি দু-একটা জিনিস চেষ্টা করছি। ইয়র্কারটায় আমি আগের মতো আত্মবিশ্বাস পাই না, চেষ্টা করছি, কী করলে ভালো হবে। কাটারটা তো আছে, আর কাজ করছি বল ভেতরে ঢোকানো নিয়ে।’
বল ভেতরে ঢোকাতে পারেন না বলে লাল বলের চুক্তি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আছেন কেবল সাদা বলে। সব বলেই খেলতে চাওয়ার তীব্র ইচ্ছা নিয়ে মোস্তাফিজ কাজ করছেন বল ভেতরে আনা নিয়েও।
নতুন বোলিং কোচ ওটিস গিবসন গ্রিপ আর হাতের পজিশন দেখিয়ে দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করে কিছুটা ফলও পেয়েছেন মোস্তাফিজ, ‘আমার কাছে ভালোই মনে হচ্ছে (বল ভেতরে আনা), জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি খেললাম, দুটি ওয়ানডে খেললাম। প্রথম স্পেলে চেষ্টা করেছি বল ভেতরে ঢোকানোর। বেশি না হলেও দু-একটি বল কাছাকাছি হয়েছে। একদিনে তো হয় না সব। দুই সপ্তাহ কাজ করছি বল ভেতরে ঢোকানো নিয়ে নতুন কোচের (ওটিস গিবসন) সঙ্গে।’
Comments