সম্পাদকীয়

দরজায় কড়া নাড়ছে ডেঙ্গু

সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা নেন। (আগস্ট ২০১৯) ছবি: রয়টার্স

বিশ্বে মহামারী রূপ নেয়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমরা যখন ব্যস্ত, তখন দেশে ডেঙ্গুর খবরও আসছে। দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এরই মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সারা দেশের হাসপাতালে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় চার গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে ২৬৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৭৩। এই সংখ্যা আমাদের খুব দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দিচ্ছে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা ভবিষ্যতের মহামারী বা সঙ্কট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকি না। শুষ্ক মৌসুমেও ডেঙ্গুর প্রভাব অস্বাভাবিক নয়। দুঃখজনক হচ্ছে, ডেঙ্গুর ধরনে যে পরিবর্তন তা পর্যবেক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বর্ষাকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করছে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৫-২০১৭ সালে ডেঙ্গু মৌসুম আসার আগেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এর আগের ১৪ বছরের তুলনায় সাত গুণ বেশি ছিল।

প্রতি বছরই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দেয়, অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর প্রতি বছরই পরিস্থিতি আগের বছরের চেয়ে খারাপ হয়। গত বছর স্থানীয়ভাবে মহামারী রূপ নেয়া ডেঙ্গু আক্রান্তের বেশিরভাগ ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই পরিস্থিতি এতোটাই দুর্বল ছিল যে, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে বারবার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপ দিতে হয়। ডেঙ্গুর বাহক- এডিস মশা ধ্বংসে আগাম ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডেঙ্গু নির্মূল অভিযান অবশ্যই কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা উচিত। একই সঙ্গে জনসচেতনতা এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষের অবশ্যই এটি নিশ্চিত করতে হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

11h ago