দলবল নিয়ে শিশু হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডায়াবেটিস কর্নারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিড় করেছেন শতাধিক লোক। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যখন জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ  দিচ্ছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তখনই সদলবলে হাসপাতালে গেলেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডায়াবেটিক কর্নারের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ছয় শয্যার এই কর্নার চালু করা হয়েছে। তবে মন্ত্রীর দাবি, সেখানে যারা উপস্থিত হয়েছিলেন তারা সবাই হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট। বাইরের কেউ তার সঙ্গে আসেননি।

মন্ত্রী আসবেন বলে সকাল থেকেই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চলছিল কর্মযজ্ঞ। মন্ত্রী পৌঁছানোর আগেই পাশের ওয়ার্ড থেকে শিশু রোগীদের এনে রাখা হয় এখানে।

এক শিশুর অভিভাবক জানান, চার নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বিছানায় তার সন্তান ছিল। মন্ত্রীকে দেখানোর জন্য সাময়িকভাবে তাদের নতুন কর্নারে আনা হয়েছে। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর আগের জায়গায় ফিরে যাবেন। তার বাচ্চা শ্বাসকষ্টে ভুগছে, ডায়াবেটিস নেই। আগের ওয়ার্ডেই তার চিকিৎসা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসবেন তাই অন্য ওয়ার্ড থেকে রোগী আনা হয়েছে ডায়াবেটিস কর্নারে। ছবি: সংগৃহীত

একই ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর বিছানা থেকে নিয়ে আসা আরেক শিশুর অভিভাবক বলেন, ‘মন্ত্রী আসবেন বলে আমাদের এখানে “শো” করা হয়েছে। তিনি চলে গেলে আগের বেডে ফিরে যাব।’

এভাবে জনসমাগম করার ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রবি বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমাদের জানানো হয়। তখন করোনাভাইরাস নিয়ে এরকম পরিস্থিতি ছিল না। যেহেতু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অন্য সবাই এসেছেন তাই অনুষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে সবাই সমবেত হবেন এটাই স্বাভাবিক।’

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যমত্রী জাহিদ মালেক। তার দাবি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমবেত হওয়া অল্প কিছু মানুষ বাইরের। বাকি সবাই হাসপাতালের। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এভাবে জনসমাগম করে অনুষ্ঠান করা কতটা সমীচীন হলো, জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বাইরের কোনো লোক নাই। সব হাসপাতালের লোক।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছেন লোকজন। ছবি: সংগৃহীত

এর পরই সাংবাদিকদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

10h ago