করোনার লক্ষণ আছে শুনেই হাসপাতাল থেকে পালালেন কাতার প্রবাসী
করোনার লক্ষণ আছে এমন সন্দেহে পরীক্ষার করার কথা বলার পর কাতার প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ধানতলিয়া গ্রামের ৩০ বছর বয়সী কাতার ফেরত ওই প্রবাসী গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবিএম মুসা চৌধুরী তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
চিকিৎসক এবিএম মুসা চৌধুরী জানান, ভর্তির কাগজপত্র পেয়ে ওই ব্যক্তি মেডিসিন ওয়ার্ডে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি পুনরায় জরুরি বিভাগে আসলে তার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকতে পারে জানিয়ে কয়েকটি পরীক্ষার কথা বলা হয়। এসব শোনার পর তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই চিকিৎসক আরও জানান, ওই ব্যক্তি নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার শরীরে ১০০ থেকে ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এ কারণেই তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ওই প্রবাসী গত ৩ মার্চ কাতার থেকে ফিরেছেন। কাউকে কিছু না বলে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহআলম বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর থেকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই প্রবাসীর সন্ধান পেতে কাজ করছেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে ইমেইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্চের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত বিদেশ থেকে বিমানযোগে ৯ হাজার ২০৮ জন প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন।
Comments