করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট পেয়েও ফিরিয়ে দিল রোনাল্ডোর ক্লাব

করোনাভাইরাস বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম। বর্তমানে ইউরোপে এটা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় এ ভাইরাস শনাক্ত করার জন্য কিটও দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নিজেদের ক্লাবের সবার জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড রোনাল্ডোর ক্লাব রিয়াল ভায়াদলিদ। অথচ ইতালির পর স্পেনেই সবচেয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে প্রতিদিন।

মূলত দেশের অন্য সাধারণ জনগণের চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজ করার জন্যই কিট ফিরিয়ে দিয়েছে ভায়াদলিদ। এক বিবৃতিতে ক্লাবটির কেবিনেট ডিরেক্টর দাভিদ এস্পিনার বলেছেন, 'এটা সত্য যে লালিগা কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য (করোনাভাইরাস শনাক্ত করার) কিট দিয়েছিল। কিন্তু আমরা তা ব্যবহার করিনি। কারণ এর দুষ্প্রাপ্যতার কারণে। আমাদের ক্লাবের কারও মধ্যে কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। আমাদের মনে হয়েছে এ কিট তাদের (সাধারণ জনগণ) দেওয়া উচিত যাদের এটা বেশি প্রয়োজন। তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ।'

অথচ স্পেনের ফুটবল ক্লাবগুলো করোনা বেশ ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটবল সংশ্লিষ্ট একমাত্র মৃত্যুটি হয়েছে তাদের দেশেই। মালাগার অ্যাতলেতিকো পোর্তাদা আলতার জুনিয়র কোচ ফ্রানসিস্কো গার্সিয়া মারা গেছে মাত্র ২১ বছর বয়সে। ভ্যালেন্সিয়ার তো ৩৫ শতাংশ খেলোয়াড় ও স্টাফ করোনায় আক্রান্ত। ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে আলাভাসের। এস্পানিওলের ৬ ফুটবলারও আক্রান্ত।  

আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্পেনে মৃত্যু সংখ্যাও অনেক। এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৬৪০ জন। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ১৪ জন। প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সবমিলিয়ে সারা বিশ্বে মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৯৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২১ হাজার ৯২৭ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ মৌসুমে অবনমনের পর দুই মৌসুম হয় সেগুন্ডা ডিভিশন থেকে ফের লালিগায় খেলার সুযোগ মিলেছে ভায়াদলিদের। মাঠে অবশ্য এখনও সে অর্থে ভালো কিছু করে দেখাতে পারেনি তারা। তবে মানবতায় অনন্য নিদর্শন রাখল ক্লাবটি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ ক্লাবটি কিনে নিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল লিজেন্ড রোনাল্ডো।

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday instructed all relevant authorities to complete preparations by December for the upcoming national election.

1h ago