আরও তিন জন আক্রান্ত, মোট ২০
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জন আক্রান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৪ জন।
আজ শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘নতুন আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে একজন নারী ও দুই জন পুরুষ। আক্রান্ত নারীর বয়স ৩০ বছর। পুরুষ দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৩০ বছর, অন্য জনের ৭০ বছর। ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত নারীর মৃদু সংক্রমণ হয়েছে। পুরুষ যার বয়স ৩০, তিনি বার্লিন-বনসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহর ভ্রমণ করেছিলেন।’
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ২৩৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে ২২১ জন, তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ হাজার ১৬৯ জন এবং স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৬ জনকে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হটলাইনে কল করেছেন ২ হাজার ৪১৭ জন। স্বাস্থ্য বাতায়নে কল এসেছে ২৯ হাজার ৯৬২টি। ৩৩৩ নম্বরে কল এসেছে ১ হাজার ৩২০টি। আইইডিসিআর থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন ৫০ জন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ জনের।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘যে কথাগুলো বারবার বলা হচ্ছে, আজকে আমরা আবার বলছি, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসলে অবশ্যই ১৪ দিন বাসার একটি নির্দিষ্ট কক্ষে অবস্থান করতে হবে। যারা বিদেশে থেকে আসবেন, ঘরের বাইরে যাবেন না। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কারো সঙ্গে দেখা করবেন না। পরিবারের যারা আছে, তাদের সঙ্গেও কন্টাক্ট (সংস্পর্শ) হয় এরম কিছু করবেন না। ঘরের ভেতর থাকবেন। খাবারও ঘরের ভেতরে খাবেন। তাদের ব্যবহার করা জিনিসও অন্যান্যদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। আলাদাভাবে পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
‘এগুলো মানলে সবাই নিরাপদ থাকবে। সবাই সুস্থ থাকার স্বার্থে এগুলো মেনে চলতে হবে। এ পরামর্শ কেউ না মানলে সরকার অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ইতোমধ্যেই দেখেছেন বিভিন্ন জায়গায় জরিমানা করা হয়েছে। একটি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এর পরেও লোকজন সচেতন না হলে সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে’, যোগ করেন তিনি।
Comments