বাংলাদেশিরা এখন আরও বেশি সুখী
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/unhappiness_0.jpg?itok=4AIu1-2V×tamp=1584773300)
বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে সুখী! এমন এক সময় এই খবর এলো যখন করোনাভাইরাস আতঙ্কে দিন কাটছে দেশের মানুষের।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধানের নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২০। এই প্রতিবেদনের সুখ সূচক অনুসারে, বাংলাদেশ ১৮ ডিগ্রি উপরে উঠে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের চেয়ে এগিয়ে আছে।
১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭তম। সূচকে পাকিস্তান ৬৬তম, নেপাল ৯২তম, শ্রীলঙ্কা ১৩০তম এবং ভারত ১৪৪তম স্থানে রয়েছে। গত বছরের সূচকে বাংলাদেশ ছিল ১২৫তম।
আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের সঙ্গে মিল রেখে গতকাল প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। ফিনল্যান্ডের পরেই আছে ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং লুক্সেমবার্গ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে দুঃখী আফগানিস্তানের মানুষ। তারপরেই আছে দক্ষিণ সুদান, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, তানজানিয়া ও বোতসওয়ানা।
এই বছরের প্রতিবেদনে সুখ সূচকে ১৫৩টি দেশ আছে। দেশের নাগরিকরা দৈনন্দিন জীবনে কতটা সুখী তা জরিপ করে তুলে ধরা হয় এই প্রতিবেদনে।
২০১১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শুরু। এর মাধ্যমে প্রতিটি দেশের সরকারকে ‘সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জনের জন্য নাগরিকদের সুখী ও ভালো থাকাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার’ আহ্বান জানানো হয়।
কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া, মাইগ্রেশন, সুস্থতার বৈষম্য এবং অন্যান্য বিষয় নাগরিকদের সুখে প্রভাব বিস্তার করে তা কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা করেছে সমীক্ষাটি। এবছর ভালো থাকার জরিপ অনুসারে বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর তালিকাও করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এ বছর আরও একটি বিশেষ অধ্যায় রয়েছে। গবেষণাটি দেখিয়েছে কীভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ একজনের জীবনে সুখ বাড়াতে পারে। স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে সমাজে সুখ ও ভালো থাকার মাত্রা বাড়ে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে প্রতিবেদনটি।
আবহাওয়া, সবুজের পরিমাণ এবং সমুদ্র সৈকত, নদী বা খালের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষকে সুখী রাখতে বিশেষ অবদান রাখে। গবেষণায় প্রাকৃতিক গাছে ঘেরা পরিবেশে বাস করা মানুষদের সুখের মাত্রা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়। যারা সমুদ্র সৈকত, নদী বা খালের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশের কাছে থাকেন তাদেরও সুখের মাত্রা একই হারে বাড়ছে।
সব মিলিয়ে প্রতিবেদনটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, একটি স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের সুখের মাত্রা বাড়াতে এবং সুস্থ রাখতে ভূমিকা পালন করে।
Comments