কোয়ারেন্টিনে পেলে
বয়সটা প্রায় ৮০। তার উপর নানা জটিলতায় প্রায়ই হাসপাতাল থাকতে হচ্ছে তাকে। আর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেঁচে থাকাই খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই ফুটবল কিংবদন্তি পেলেকে বাধ্য হয়েই কোয়ারেন্টিনে রেখেছে তার পরিবার। অথচ এখনও ব্রাজিলিয়ান সরকারও কারো জন্য কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেনি।
বর্তমানে নিজ বাসভবন গুয়ারুজাতে কোয়ারেন্টিনে আছেন পেলে। কাছের আত্মীয়স্বজন তার স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ প্রায় ৮০ বছর বয়সীদের জন্য করোনাভাইরাস খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাইরের লোকজনের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছেন তার ছেলে এদিনহো। এমনকি সামনের সময়ে থাকা সব ধরণের পাবলিক ইভেন্ট বাতিল করে দিয়েছেন তার ছেলে। অথচ চলতি বছর তার তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে চাইছে ব্রাজিল।
কিছু দিন আগেই এদিনহো সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তার বাবার স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পেলের স্বাস্থ্যের অবস্থা দিনদিনই অবনতি হচ্ছে। ২০১৫ সালে প্রস্টেট সার্জারি করতে হয়েছিল তার। গত বছর মূত্রনালির সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিছুদিন আগেও কোমরের ব্যথায় হাসপাতালে গিয়েছেন। যে কারণে দীর্ঘ দিন ধরে হাটতে পারছেন না। হুইল চেয়ারে করেই চলাচল করতে হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেওয়া করোনা ল্যাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১১ জন মারা গেছেন দেশটিতে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯৭৭ জনের বেশি। প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
Comments