করোনাভাইরাস:গোলটেবিল বৈঠক

‘ভুল তথ্য ও গুজব ভাইরাসের চেয়েও ভীতিকর’

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন দুই জন। চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন, আমাদের করণীয় কী, এসব নিয়ে ‘করোনা প্যানডেমিক-টাস্কস অ্যাহেড’— শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দ্য ডেইলি স্টার।
দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন দুই জন। চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন, আমাদের করণীয় কী, এসব নিয়ে ‘করোনা প্যানডেমিক-টাস্কস অ্যাহেড’— শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দ্য ডেইলি স্টার

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টারের মিডিয়া সেন্টারে ইউনিলিভারের সহযোগিতায় এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানা, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা অধ্যাপক মোশতাক, ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিটি অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সাগুফতা আনোয়ার, স্কয়ার হাসপাতালের ডা. ফজলে রাব্বি মোহাম্মাদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলে।

ভুল তথ্য ও গুজব কীভাবে সব প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে এবং বাংলাদেশের করণীয় নিয়ে কথা বলেন ডব্লিউএইচও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানা। তিনি বলেন, ‘ভুল তথ্য ও গুজব ভাইরাসের চেয়েও বেশি ভীতিকর। এগুলো ভাইরাস মোকাবিলায় একটি দেশের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটির মাধ্যমেই ভাইরসটি ধীর গতিতে সংক্রমিত হয়, বিষয়টি প্রমাণিত। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে উচিত শক্তিশালী স্ক্রিনিং, আইসোলেশন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।’

‘আমাদের সামর্থ অনুযায়ী এগোতে হবে’—উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে গেছে। আজকেও চারটি কেস পাওয়া গেছে। এখন ইমার্জেন্সি করবে কি না, লকডাউন করবে কি না, এসব নিয়ে কথা হচ্ছে। এখন আমাদের সামর্থ অনুযায়ী এগোতে হবে। লকডাউন করে পুরো দেশ অচল করলে অনেক শ্রমিক আছে, যে দিন এনে দিন খায়, অনেক দেশ আছে খাওয়া সাপ্লাই দেয়, এখন আমাদের এখানে কী করবে, এগুলো আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। বিশেষ করে কত বেড লাগবে, কী লাগবে, প্রস্তুতি নিতে হবে।’

‘আরেকটা জিনিস আগেও পরামর্শ দিয়েছি, সাধারণ হাসপাতালে যাতে করোনা রোগী ভর্তি না হয়। এতে পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে মানুষ আরও ভয় পেয়ে যাবে’, যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের প্রটেকশন নিয়ে কথা হচ্ছে। তাদের প্রটেকশন তো দিতেই হবে। ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল কর্মকর্তা যারা, তাদের যদি ব্যক্তিগত সুরক্ষা যদি নিশ্চিত না করা হয়, তারা কীভাবে চিকিৎসা দেবে? তারা তো ভয় পাচ্ছে। তাদেরও তো পরিবার আছে। তাই তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে আউটডোরের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা হোম কোয়ারেন্টিনের স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করতে পারছে না, তাদের বের করতে হবে। এটা স্বাস্থ্য বিভাগকে করতে হবে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আইসোলেশন সেন্টার নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ সর্দি-কাশি নিয়ে আসলে উপজেলা বা জেলা হাসপাতাল দেখবে। কিন্তু, যারা শ্বাসকষ্ট অথবা কারো হয়তো কো-মরবিডিটি আছে, তাদের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে নিয়ে যেতে হবে। ক্রিটিক্যাল কেয়ারের ব্যবস্থা সব পর্যায়ে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলের মতো বড় হাসপাতালগুলোতে হাঁচি, সর্দি, কাশির জন্য আলাদা কাউন্টার থাকতে হবে। আমাদের দেশে অনেকেই সাধারণ সর্দি, কাশি হলে ওষুধের দোকানে যাই। সেক্ষেত্রে তো ওষুধের দোকানের বিক্রেতারা সবাই পালাবে। তাই তাদের আগে থেকেই একটি প্রটেকটিভ সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে।’

লকডাউন ও ইমার্জেন্সি ঘোষণার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘লকডাউন, ইমার্জেন্সি— এগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পছন্দের টার্ম। কিন্তু, কেন আমরা লকডাউন করবো? কেন ইমার্জেন্সি ঘোষণা করবো? আমাদের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। যেখানে আছে, গ্রামে আছে, সে হয়তো ছড়াচ্ছে আমরা তাকে বের করবো। সেখানে হয়তো ইতোমধ্যে ছড়িয়ে গেছে, কয়জন আমরা পেতে পারি। কিন্তু, তার জন্য গোটা দেশ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করতে হবে কেন? গোটা দেশ ঠিকমতো চলবে, গোটা দেশের কর্মকাণ্ড ঠিকমতো চলবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ মিলে আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করবো।’

অধ্যাপক ডা. মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘চীন থেকে ভাইরাসটি সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা দেখেছি চীন তাদের মৃত্যুর সংখ্যাটা কমিয়ে এনেছে। ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে এখনো সে পর্যায়ে পৌঁছায় নাই। হয়তো যেতেও পারে। আজকে একজন মারা গেছেন, আক্রান্ত বেড়েছে। সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক আগে থেকেই এ ব্যাপারে চিন্তা করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আলোচনা করছেন।’

‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের যে অবস্থা বিরাজমান, আমাদের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য) পক্ষ থেকে। কয়েকটি জায়গায় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইজতেমার ময়দানে ব্যবস্থা করতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে ব্যবস্থা করবে। চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার মতো অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গুতে আমাদের ৮-১০ জন চিকিৎসকও মারা গিয়েছিলেন। করোনাভাইরাসে বেশি দরকার সচেতনতা। মানুষকে বলা। সচেতনতা বাড়ালেই আমরা করোনা মোকাবিলা করতে পারবো।’

অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ বলেন, ‘কোভিড-১৯ বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশেও এসেছে। এটি একটি নতুন রোগ। ডব্লিউএইচও সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। কারণ, আগামী ১ বছরেও এ রোগের নতুন ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যাবে না। এ সময়ের মধ্যে চীন, কোরিয়া, ইরান, ইতালিসহ অন্যান্য দেশের যে অভিজ্ঞতা আছে, আমাদের সেটি কাজে লাগাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোন কোন দেশের কী অবস্থা হতে পারে তা নিয়ে ইমপেরিয়াল কলেজ গতকাল বলেছে, “ভাইরাসটির পরবর্তী কেন্দ্র ভারত। প্রায় ৩০ কোটি মানুষ এতে আক্রান্ত হবে।” এখন আমাদের অবস্থা কী হবে? জার্মানি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুরের মতো দেশে মৃত্যুর হার খুব কম। চীন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তারা যে পদ্ধতিতে এগিয়েছে, আমাদেরও তা অনুসরণ করতে হবে। যত দ্রুত ওদের লেসনগুলো আমরা নিতে পারবো, তত আমাদের লাভ।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া গণবিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘জ্বর-কাশি হলে বাসায় থাকা দরকার। কারো সঙ্গে মিশবেন না। দরকার হলে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকেন। কেবল যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলেই হাসপাতালে আসেন।’

‘কোয়ারেন্টিন বা লকডাউন, এগুলো ভয়ের শব্দ। এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো’, যোগ করেন তিনি।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখেছি অনেকেই কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। মানুষ খুব বেশি সতর্ক হচ্ছে না এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয়, তা বলা। তবে, বিষয়টি যে খুব গুরুত্বপূর্ণ তাও মানুষকে জানাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে। এখন অনেকদিক থেকে এগুলো আসছে।’

‘বেসরকারি হাসপাতালে আমরা কমিউনিকেবল রোগের তুলনায় নন-কমিউনিকেবল রোগে আক্রান্ত রোগী বেশি পাই’— উল্লেখ করে সাগুফতা আনোয়ার বলেন, ‘এখন করোনার মতো ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত আমাদের মতো হাসপাতালে আসলে দাবানলের মতো একটা অবস্থা হওয়ার কথা। কারণ, আশপাশের রোগীরা খুব ঝুঁকিতে পড়বেন। কিন্তু, প্র্যাকটিক্যালি আমরা যা দেখছি, কাউকে আইইডিসিআরে যেতে বললে তারা যেতে চায় না। যেয়ে কার সঙ্গে কথা বলবে, সেখানে পরিবেশ কেমন হবে, এসব অনেক কিছু নিয়ে তারা ভয় পাাচ্ছে।’

‘এই যে আমরা আইসোলেশন ইউনিটের কথা বলছি, বিভিন্ন জায়গায় আইসোলেশন করছি। আগে আমাদের ভয় ভাঙ্গতে হবে। তাহলেই তারা সেখানে যাবে। না হলে তারা তো সেখানে যাবে না। সেগুলো ফাঁকা পড়ে থাকবে’, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন কী, বিষয়গুলো মানুষকে বোঝাতে হবে। রোগীরা যাতে মিথ্যে না বলে, তা বোঝাতে হবে। অনেকে প্যারাসিটামল খেয়ে আসছে যাতে স্ক্যানারে জ্বর ধরা না পড়ে। তাই তাদের বোঝাতে হবে। পিপি সরবরাহ করতে হবে। এবং এগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, কে মাস্ক পরবে, কে পরবে না, এগুলো স্পষ্টভাবে বলতে হবে।’

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা অধ্যাপক মোশতাক বলেন, ‘এ ধরনের মহামারি নিয়ন্ত্রণ করার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ব্রিটিশ আমল থেকেই আছে। রোগ তাত্ত্বিক সূত্র প্রয়োগ করে এ দেশে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু মহামারি হতে দেইনি। বাংলাদেশে রিসোর্স শর্ট থাকতে পারে, তবে পাবলিক কাঠামো অনেক দেশের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। মেডিকেল নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী। প্রথম থেকে এখানে যে রোগটা (করোনা) ছড়িয়ে পড়েনি, এটার কৃতিত্ব কেউ দিবেন না। অনেক দেশের পরে এখানে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা মাপার জন্য হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারই যথেষ্ট। ইতালির চাইতে আমাদের দেশের মানুষ অনেক সচেতন। এখনও পর্যন্ত আমাদের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া) নেই। বিদেশ থেকে যারাই আসছে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। যে ২৪ জন শনাক্ত হয়েছে, তাদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে হোম কোয়ারেন্টিন, কাউকে ফেসিলিটি কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করেছি।’

‘আমি লকডাউন কথাটি বলবো না, কমিউনিটি কোয়ারেন্টিন। শিবচরের চারটি গ্রাম কমিউনিটি কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করলে আমরা করোনাভাইরাস ঠেকাতে পারবো। আমাদের প্রস্ততি নিতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

কেদার লেলে বলেন, ‘সরকারের উচিত জনগণকে নিরাপদে রাখা এবং ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকানো। এরপরে আতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের রিঅ্যাক্ট করা উচিত নয়। রেসপন্স করতে হবে। সবশেষ, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’

‘কিটের ফ্যাসিলিটি প্রাইভেট সেক্টরে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত’—উল্লেখ করে ডা. ফজলে রাব্বি মোহাম্মাদ বলেন, ‘যদি প্রাইভেট সেক্টরের সাহায্য চাওয়া হয়, স্কয়ার হাসপাতালের যে টেকনোলজি আছে, আমরা করতে পারবো। কিন্তু, শুধু একটা হাসপাতালে সেটা সম্ভব না। তাহলে সবাই চলে আসবে।’

অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, ‘বয়স্করা ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকেন। আমাদের টার্গেট ভালনারেবল পপুলেশন হলো ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা। বাংলাদেশে তাদের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। প্রথমে তাদের জন্য আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর দরকার। আমাদের জনসংখ্যা হিসাবে করতে গেলে কতজন লোকের জন্য আইসিইউ দরকার তা আগে ঠিক করতে হবে। কোনো দেশের সরকার একা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে, যেটা আমরা হোম কোয়ারেন্টিন করছি। বাংলাদেশ কনটেক্সটে কীভাবে হোম কোয়ারেন্টিন আশা করা যায়? আপনারা যার যার বাড়িতে যান। প্রত্যেকের সেখানে নিজস্ব কামরা আছে এবং সেখানে বাথরুম আছে? এ কারণে হোম কোয়ারেন্টিন ভুল। এটির মাধ্যমে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রতিরোধে একটাই উপায়, তা হলো— আমরা যাদের ট্রেস করছি, তাদের প্রাতষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে পারি কি না।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago