এএফসির সেরা ‘ম্যাজিক মোমেন্টস’ তালিকায় আবাহনী
গেল মৌসুমের এএফসি কাপে ইতিহাস গড়েছিল আবাহনী লিমিটেড। বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে তারা পা রেখেছিল আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে শেষ ম্যাচে ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির যোগ করা সময়ের গোলে সেই সমীকরণ মিলিয়ে অনন্য অর্জনের উচ্ছ্বাসে ভেসেছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। আবাহনীর স্মরণীয় সেই জয় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ‘ম্যাজিক মোমেন্টস’ তালিকার সেরা তিনে জায়গা করে নিয়েছে।
গতকাল শনিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় আবাহনীর রোমাঞ্চকর জয়টিকে ‘যোগ করা সময়ে আবাহনীর উল্লাস’ শিরোনাম দিয়েছে এএফসি। সেখানে আরও ঠাঁই পেয়েছে ২০১৪ আসরের ফাইনালে টাইব্রেকারে কুয়েতের ক্লাব আল কাদসিয়ার শিরোপা জয় এবং ২০১৮ আসরের গ্রুপ পর্বে ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব পার্সিয়া জাকার্তা ও মালয়েশিয়ার ক্লাব জোহর দারুল তাজিমের মধ্যকার ম্যাচে রেকর্ড দর্শক উপস্থিতি (৬০ হাজার ১৫৭ জন)।
২০১৯ সালের ২৬ জুন মিনার্ভার মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল আবাহনী। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র ছিল। এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পায় তারা। নাবীব নেওয়ার জীবনের কর্নারে হেড করে কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট বল বাড়িয়ে দেন গোলমুখে। সেখান থেকে নিখুঁত হেডেই জাল কাঁপিয়েছিলেন সাইঘানি। তাতে ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপ থেকে পরের পর্বের টিকেট কেটেছিল আবাহনী। অন্য ম্যাচে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদিকে ৩-২ গোলে হারিয়েও তাই গ্রুপ পর্বে আটকে যেতে হয় ভারতের চেন্নাইন এফসিকে। ছয় ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ছিল ১১।
অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে গেলবার নজর কাড়লেও এবারের এএফসি কাপে আবাহনীর অভিজ্ঞতাটা সুখকর হয়নি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আগের মৌসুমে রানার্সআপ হওয়ায় এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা ক্লাব আসরের বাছাইপর্বের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে খেলতে হয় তাদেরকে। কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করে মূল পর্বে উঠতে পারেনি তারা। মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় ২-২ আর মালেতে গোলশূন্য ব্যবধানে ড্র করে আবাহনী। ঘরের মাঠে গোল হজম করায় বাদ পড়ে তারা।
Comments