করোনাভাইরাস

দেশে পিপিই তৈরির উদ্যোগ

প্রতীকী ছবি। (সংগৃহীত)

দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকসহ মেডিকেলকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নেই বলে আলোচনা-সমালোচনা চলাকালীনই সুখবর জানা গেল।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার (এমঅ্যান্ডএস) চার লাখ পিপিই বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে—এমন সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার সঙ্গে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে জড়িত বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক পেজ থেকেও কিছু তথ্য পাওয়া যায়।

এমঅ্যান্ডএস’র ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেসন্স বিভাগের প্রধান কামাল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, যৌথভাবে পিপিইগুলো উৎপাদন করা হবে। এর সঙ্গে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সেগুলো হলো— এমঅ্যান্ডএস, পে ইট ফরওয়ার্ড বাংলাদেশ, অনেস্ট, বুয়েট অ্যালামনাই, ঢাকা সব রোটারি ক্লাবের পক্ষে ঢাকা নর্থ-ওয়েস্ট রোটারি ক্লাব। এ ছাড়া এমঅ্যান্ডএস’র সাপ্লাইয়ার এফসিআই, তারা পিপিই’র সেম্পল ডেভেলপমেন্ট করছে।

কামাল আহমেদ বলেন, ‘এটি যৌথ উদ্যোগ। প্রাথমিকভাবে আমরা ২-৪ লাখ পিস উৎপাদন করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে পে ইট ফরওয়ার্ড থেকে অনুরোধ পাই। উনারা চেয়েছিলেন এরকম কিছু করা যায় কি না, তখন আমরা মনে মনে এটাই চিন্তা করছিলাম। পরবর্তীতে আইডিয়া ডেভেলপ করা শুরু করছি। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। তারাও কিছু পরিকল্পনা করেছে। সবাই মিলে ফান্ডিং যোগার করা হয়েছে। আমরাও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পিপিই তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

‘পিপিই তৈরি করতে অনেকগুলো উপাদান দরকার হয়। সেখানে আমাদেরও ইনভলমেন্ট আছে’, যোগ করেন তিনি।

‘সরকার অর্থ দিচ্ছে কি না’—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের-আপনাদের সবার টাকা দিয়ে হচ্ছে। আমরা যারা সংশ্লিষ্ট তারা টাকা তুলছেন, নিজেরা অর্থ দিচ্ছেন। সরকার কোনো অর্থ দিচ্ছে না।’

উৎপাদন কোন পর্যায়ে আছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আছি। প্রোডাক্টাকে আমরা মেডিকেল স্ট্যান্ডার্ডে আনতে চাচ্ছি। এর জন্য এক-দুদিন সময় লাগবে।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago