করোনার লক্ষণ নিয়ে ভৈরবে ইতালি প্রবাসীর মৃত্যু

করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ইতালিফেরত ৬০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন।
Coronavirus-1.jpg
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ইতালিফেরত ৬০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন।

রোববার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব বুলবুল আহমেদ।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ইতোমধ্যে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা জানান, উপজেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তির চারপাশের ১০টি ঘর ও দুটি বেসরকারি হাসপাতালে মানুষের চলাচল সীমিত করেছে।

ঘটনার রাতে দুই হাসপাতালে যারা কর্মরত ছিলেন, তাদের হাসপাতালের ভেতরেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত ব্যক্তির বাড়ির চারপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির দুই ছেলে বর্তমানে ইতালিতে আছেন। তিনি গত ২০০২ সালে ইতালিতে যান। ইতালির পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। তবে ওই ব্যক্তি ইতালি থেকে ফেরার বিষয়টি উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির নজরে আনেননি।

এমনকি, তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাননি এবং এলাকায় স্বাভাবিক চলাফেরা করছিলেন। ওই ব্যক্তি নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়েছেন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

গত শনিবার থেকে ওই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর চিকিৎসকেরা তাকে হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় ওই হাসপাতাল থেকে তাকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাদের তালিকার বাইরে ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে জানা গেছে, তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল।

‘যে নিয়মে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দাফনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, একই নিয়মে এই ব্যক্তিকে দাফন করা হবে,’ যোগ করেন এই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago