চৌগাছায় বিদেশফেরত ৮৪০ জনকে খুঁজছে পুলিশ

যশোরের চৌগাছায় ‘কোয়ারেন্টিনের’ বাইরে থাকা বিদেশফেরত ৮৪০ জনকে খুঁজছে পুলিশ। এদিকে, নতুন করে ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিদেশফেরত সব নাগরিককে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনেকে সরকারি নির্দেশনা না মেনে তথ্য গোপন করে পরিবারের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত একমাসে (২০ মার্চ পর্যন্ত) যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বিদেশফেরত ব্যক্তির সংখ্যা ৮৬০ জন। তবে উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন মাত্র ১৭ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। ফলে বিদেশফেরত মোট ২০ জনকে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

আগে থেকে কোয়ারেন্টিনে রাখা বিদেশফেরত তিন জন ও ইতালিফেরত এক দম্পতির পরিবারের ছয়জনকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, উপজেলায় ৮৪০ বিদেশফেরতের কোন খোঁজ নেই। এছাড়াও, ২১ ও ২২ মার্চেও অনেকে বিদেশ থেকে চৌগাছায় এসেছেন। তাদেরও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারত থেকে যারা এসেছেন তারাও কোয়ারেন্টিনের বাইরে রয়েছেন। গত শনিবারও ভারতের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী চৌগাছায় ফেরার তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘নতুন করে ১৪ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া আগের ১২ জনের মধ্যে নয় জনকে মুক্ত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৭ জন।’

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকার ১৪ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় খুঁজে নতুন করে কোয়ারেন্টিনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুরনোদের মধ্যে নয় জনকে মুক্ত করা হয়েছে। যাদের ছয় জন ইতালিফেরত এক পরিবারের সদস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য যারা ১০ মার্চের পর বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গঠিত কমিটির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে বাধ্য করা হবে।’

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, ‘তথ্য অনুযায়ী লুকিয়ে থাকা প্রবাসীদের সন্ধান করা হচ্ছে। তাদেরকে খুঁজে কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Complete polls preparations by December: Yunus

Asks to review if those who served as polling officers in past three elections shall not be assigned the same roles again

3h ago