জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের উইলিয়ামসনের খোলা চিঠি

এক খোলা চিঠিতে নিউজিল্যান্ডের ডাক্তার, নার্স ও সেবাদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উইলিয়ামসন। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটাররা নয়, প্রকৃত চাপ মাথায় নিয়ে কাজ করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা আর সেই চাপ হলো মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করা।
KANE WILLIAMSON
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবার সামনে থাকছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী অন্যান্য কর্মীরা। নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন অন্যের কল্যাণে, অন্যের জীবন বাঁচাতে। তাদের এই নিঃস্বার্থ ভূমিকাকে কৃতিত্ব দিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

বৃহস্পতিবার এক খোলা চিঠিতে নিউজিল্যান্ডের ডাক্তার, নার্স ও সেবাদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উইলিয়ামসন। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটাররা নয়, প্রকৃত চাপ মাথায় নিয়ে কাজ করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা আর সেই চাপ হলো মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করা।

চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী অন্যান্যদের পেছনে গোটা নিউজিল্যান্ডবাসীর সমর্থন রয়েছে জানিয়ে খোলা চিঠিতে তারকা ডানহাতি ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসন লিখেছেন,

‘প্রিয় ডাক্তার, নার্স ও সেবাদানকারীরা,

গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, আমরা একটি স্বাস্থ্য সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।

এতে কোনো সন্দেহ নেই, আমরা যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি, সামনের দিনগুলোতে তার মাত্রা আরও বাড়বে।

আমরা ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ যে, আপনারা আমাদের পাশে আছেন।

লোকেরা সবসময় বলে, পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদদের অনেক চাপের মধ্যে পারফর্ম করতে হয়। তবে সত্যিটা হলো, জীবিকার জন্য প্রতিদিন আমরা এমন কিছু করি, যা করতে আমরা ভালোবাসি। আমরা শুধু খেলাটা খেলি।

সত্যিকারের চাপ হলো মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করা। সত্যিকারের চাপ হলো অন্যের মঙ্গলের জন্য নিজের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে প্রতিদিন কাজে যাওয়া।

আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাসের প্রতিটি দিনে আপনাদের নিজেদের ও আপনাদের সহকর্মীদের এই কাজটিই করতে বলা হবে।

এটি একটি বিরাট দায়িত্ব, যা কেবল সেরা মানুষরাই পালন করতে পারে: যারা অন্যের মঙ্গল করাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখে।

ব্ল্যাকক্যাপস (নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের যে নামে ডাকা হয়) হিসেবে আমরা জানি, নিজের সঙ্গে পুরো দেশের সমর্থন থাকার অনুভূতিটা কেমন। একইভাবে আমরা আপনাদের জানাতে চাই, আপনারা একা নন। আমরা আপনাদের জানাতে চাই যে, পুরো দেশ রয়েছে আপনাদের পেছনে।

আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠব এবং আপনারা তার একটি বড় কারণ।’

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে নিউজিল্যান্ডেও। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২৮৩ জন। তবে কারও মৃত্যু সংবাদ জানা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago