বগুড়ায় পীরের ওরস, বাধা দেওয়ায় পুলিশকে মারধর
গণজমায়তে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পীরের মাজারে ওরসের আয়োজনে বাধা দেওয়ায় বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রাত ৯টার দিকে শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার গোয়ালগাড়িতে প্রয়াত ভাষা সৈনিক গাজিউল হকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। মাজারটি গাজিউল হকের বাবা সিরাজুল হক চিশতির নামে।
পুলিশ জানায়, পীরের মুরিদরা দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে সেখানে ওরসের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নান্নু খান, সহকারী পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম মাজারে গিয়ে ওরস করতে নিষেধ করেন। এতে উপস্থিত প্রায় দুইশ মুরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা বলেন, আমরা গত ৬০-৭০ ধরে এই ওরস করছি। আপনারা চলে যান আমরা ওরস করব।
পুলিশ আবারো নিষেধ করলে, পীরের মুরিদরা মাজারের মূল ফটক আটকে লাঠি-রড দিয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে সদর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম সেখানে গিয়ে মুরিদদের বের করে দিয়ে হামলায় জড়িত ২৩ জনকে আটক করে।
থানায় আটক থাকা মুরিদ শফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, প্রতি বছর ২৫ মার্চ আমরা একটি বাৎসরিক ওরসের আয়োজন করি। এবার সীমিত আকারে আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের ওপর সরাসরি লাঠিচার্জ করে।
পুলিশকে মারধরের কথা অস্বীকার করে শফিকুলের দাবি, সেখানে তাদের ৩০-৩৫ জন ছিলেন।
ইন্সপেক্টর রেজাউল বলেন, এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে মুরিদদের মারধরে নান্নুর ডান হাত এবং জাহিদুলের বাম হাতের হাড়ে ফাটল ধরেছে।
সরকারি আদেশ অমান্য করে গণজমায়েত এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এই ২৩ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
Comments