এই স্থবিরতা ল্যাঙ্গারদের কাছে বরং ইতিবাচক

করোনাভাইরাসের থাবায় গোটা পৃথিবীই যেন থমকে আছে। একের পর এক দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। দমবন্ধ সময়টায় কেউ কেউ হাঁপিয়ে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার দেখছেন এর ইতিবাচক দিক। নিজেদের পেশাদারি ব্যস্ততার ভিড়ে তাদের কাছে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে এসেছে এই অপ্রত্যাশিত ছুটি।
Justin Langer
ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

করোনাভাইরাসের থাবায় গোটা পৃথিবীই যেন থমকে আছে। একের পর এক দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। দমবন্ধ সময়টায় কেউ কেউ হাঁপিয়ে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার দেখছেন এর ইতিবাচক দিক। নিজেদের পেশাদারি ব্যস্ততার ভিড়ে তাদের কাছে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে এসেছে এই অপ্রত্যাশিত ছুটি।

বছর জুড়ে একের পর এক সিরিজ খেলতে হয়। আজ এই দেশ তো কাল ওই দেশ। ভ্রমণ যেন ক্রিকেটার ও কোচদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বছরের ১০ মাসই তাই হয়ে যায় হাওয়া। এসব করতে গিয়ে পরিবারকে নিবিড়ভাবে পাওয়া হয় কম। 

বৃহস্পতিবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েব পোর্টালকে এক সাক্ষাতকারে অস্ট্রেলিয়ার কোচ জানান, বৈশ্বিক স্থবিরতায় মাঝে তাদের সময়টা কাটছে বেশ ভালোই,  ‘এখনকার বাস্তবতা হলো আমরা কেবল বসে আছি। সত্যি করে বলতে ব্যক্তিগতভাবে আমার ও খেলোয়াড়দের জন্য নির্ভার সময়। সবাইকে পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে এই ছুটি। নিজের বাড়িতে নিজের আপন বিছানায় ঘুমাচ্ছি, রান্না করা খাবার খাচ্ছি।’

নিয়মের আবদ্ধ জীবনে হুট করেই যেন এসেছে অবারিত স্বাধীনতা। এদিক থেকে বিচার করে স্বস্তি ল্যাঙ্গারের , ‘আমরা যারা বছরের ১০ মাসই ছুটে বেড়াই তাদের জন্য এই বিরতি একটা বড় সুযোগ। আমরা এখন পরিবারকে নিবিড়ভাবে পাচ্ছি। নিয়মের বাইরে থাকার সুযোগ হয় কম। এই যেমন দাড়ি বড় করলাম। খালি পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, বাগানে যাচ্ছি। অফিসের কাজ করতে পারছি বাড়িতে বসেই। এসব কিছুই আসলে ইতিবাচক।’

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের ছোবলে অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৩০ জন। দেশটিতে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বার, ক্যাফে, সিনেমাহলো। দ্বার বন্ধ উপসনালয়গুলোরও। 

ক্রমেই এই ভাইরাসের ব্যাপ্তি বাড়ায় লম্বা হতে পারে ল্যাঙ্গারদের অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটিও। একের পর এক সিরিজ স্থগিতের তোড়ে জুনে তাদের বাংলাদেশ সফরও অনিশ্চিত। এমনকি বিশ্বকাপ নিয়েও আছে শঙ্কা। ছুটি লম্বা হলে নির্ভার ভাব উবে গিয়ে আসতে পারে বিরক্ত, মানসিক অস্থিরতাও। 

এই সময়টায় ক্রিকেটাররা যাতে মানসিকভাবে ঠিক থাকেন তা নিয়েও ভাবছেন ল্যাঙ্গার, ‘একটি কনফারেন্সে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ছেলে ও মেয়ে ক্রিকেটাররা যাতে মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা থাকে এই বিষয়টা আমাদের নজর রাখতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Power supply may not improve anytime soon

The power supply situation has further deteriorated across the country as another power plant has completely shut and there is no sign of increasing generation in the immediate future.

5h ago