বাধার মুখে ইন্টারনেট সেবা, লাঞ্ছিত হচ্ছেন কর্মীরা: আইএসপিএবি

ISPAB-2.jpg
ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের গত দুদিনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।

এ ছাড়াও কর্মীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আইএসপিএবি’র  সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সরকার ইন্টারনেটকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং আমাদের চব্বিশ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে।’

কিন্তু, গত দুদিনে আটটি অভিযোগের কথা তিনি জানান, যার পাঁচটিই রাজধানীতে ঘটেছে।

এমদাদুল হক বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা আমাদের কর্মীদের লাঞ্ছিত করেছে এবং আমাদের অফিস বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।’

‘অফিস খোলা দেখে পুলিশ আজ নগরীর মোহাম্মদপুরে কাঁটাসুর এলাকায় ফিউচার টেক ইন্টারনেট কর্মীদের মারধর করেছে। ইন্টারনেট সেবা বিষয়ক সরকারি আদেশের কাগজপত্র দেখালেও তারা শোনেনি’, বলেন তিনি।

তিনি জানান, বিষয়টি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জানানো হয়েছে।

তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে, আইএসপিএবি’র পক্ষ থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত বুধবার অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশ (অ্যামটব) একই অভিযোগ করেছিল। নেটওয়ার্ক পরিচালনা, রিচার্জ ও বিতরণসহ অন্যান্য কাজে মোবাইল অপারেটর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বাধার মুখে পড়েন।

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত সপ্তাহের শুরুতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেশে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে। এসময় বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বন্ধ চলাকালীন সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের অফিস চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Tanvir takes five as Tigers clinch 2nd Sri Lanka ODI

Bangladesh captain Mehidy Hasan Miraz has won the toss and opted to bat first in the second ODI against Sri Lanka, looking to keep the three-match series alive with a win at the R Premadasa Stadium today. 

14h ago