টাঙ্গাইলে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

ছবি: স্টার

টাঙ্গাইলের কান্দিলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয় জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১০ জন।

আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মো. জুলহাস আলী (৫০) ও বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার মো. আলেক (৪৫) ও মো. বাবু (২৫) এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল্লাহ আলিয়াস দীপক (৩৫)।

আহতদের মধ্যে ছয় জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মো. নুরুন্নবী (২৮) ও মো. হাবিব (৩০), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মো. লিটন (৩২), তুরাবগঞ্জের মো. শিপন, পীরগঞ্জের আনোয়ারুল হক (৫০) ও বগুড়ার তাহমিনা বেগম (৪০)।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ১১-১১৭১) ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ট্রাকে উত্তরবঙ্গের কিছু যাত্রী ছিলেন। ট্রাকটি কান্দিলা বাজার এলাকায় গিয়ে উল্টে গেলে সিমেন্টের বস্তার নিচে ১৬ জন আটকা পড়েন। তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাঁচ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ১১ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জন মারা যান। বর্তমানে এক নারীসহ ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে দুই জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রাকটিতে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।

টাঙ্গাইলের ট্রাফিক ইনস্পেকটর (প্রশাসন) মো. সাজেদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতরা সবাই দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। তারা ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে উঠেছিলেন টাঙ্গাইল, বগুড়া, গাইবান্ধা ও রংপুর যাবেন বলে। দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় ট্রাকের চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তা না হলে ফাঁকা রাস্তায় দুর্ঘটনার আর কোনো কারণ নেই।’

আরও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক উল্টে নিহত ৫

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

2h ago