এসএমএস-এর সাড়া কম, গ্রাহকদের প্রশ্ন
সরকারের দিক থেকে স্বাস্থ্য তথ্য চেয়ে গ্রাহকদের কাছে গতকাল রোববার থেকে যে এসএমএস যাচ্ছে তার বিপরীতে তথ্য না দিয়ে বরং গ্রাহকরাদের হাজারো প্রশ্নের একটি– কি জন্যে চাওয়া হচ্ছে এই তথ্য?
গতকাল সকাল থেকে শুরু হয়েছে সরকারি তথ্য হিসেবে একটি এসএমএস পাঠানো। সেখানেই বলা হয়েছে— আপনার শ্বাস কষ্ট, জ্বর বা কাশি থাকলে ডায়াল করুন *৩৩৩২# নম্বরে। ওখানে ডায়ায় করলেই ৯০ সেকেন্ডের একটি আইভিআর ভয়েসে পাঁচটি স্বাস্থ্য তথ্য চাওয়া হচ্ছে যেটা দিয়ে আসলে করোনা ঝুঁকি পরিমাপের ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা এসব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরং নিজেরাই হাজারো প্রশ্ন নিয়ে হাজির হচ্ছেন মোবাইল অপারেটরদের কল সেন্টারে। সরকার বলে দিয়েছে তাই তারা এই এসএমএস পাঠিয়েছেন। কিন্তু, তাদের কাছে কল সেন্টার প্রতিনিধিদের কাছে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা অতসব প্রশ্নের উত্তর নেই, বলছিলেন বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটরের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
তাছাড়া, অনেক মোবাইল ব্যবহারকারীর অসংখ্য এসএমএস-এর ভিড়ে এই এসএমএসটি দেখছেনও না।
‘সেলফ রিপোর্টিংয়ের এই তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি কতোটা কাজে আসবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে,’ বলছিলেন এক অপারেটরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
গত শনিবার বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশনায় রোববার সকাল থেকে সব মোবাইল সংযোগে এই এসএমএসটি পাঠানো শুরু হয়।
পরিকল্পনা ছিল কার্যকর থাকা ১৬ কোটি ৬২ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশের কাছ থেকে উত্তর পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইডিসিআর, ৩৩৩ তে আসা সব কল ও সরকারের স্বাস্থ্য বাতায়নের কল মিলিয়ে ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বা অ্যাকসেস টু ইনফরমেশান (এটুআই) সেটিকে বিগ ডেটা অ্যানালিসিসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ঝুঁকির ডিজিটাল ম্যাপ করবে।
এসএমএস-এ গ্রাহকের জন্যে ওয়েব সাইট (http://corona.gov.bd/) ব্রাউজ করে তথ্য দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে। সুযোগ আছে অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য দেওয়ার। কিন্তু, সেখানেও সাড়া খুব একটা পড়েনি বলে জানা গেছে।
এটুআই থেকে বলা হচ্ছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নিরুপণ করা গেলে সেখানে কতো রোগী হতে পারে এবং তাদের জন্যে কি কি আয়োজন করতে হবে তার একটি হিসাব করতে পারবে সরকার।
Comments