বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন লিটনের স্ত্রী সঞ্চিতা

বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাসের স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতা। নিজ বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন তিনি। অল্পের জন্য বড় একটি একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও হাতের কিছু অংশ পুড়ে যায় তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিটন নিজেই।

বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাসের স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতা। নিজ বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন তিনি। অল্পের জন্য বড় একটি একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও হাতের কিছু অংশ পুড়ে যায় তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিটন নিজেই। 

মুঠোফোনে স্ত্রীর আকস্মিক দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে ডেইলি স্টারকে লিটন বলেছেন, 'হ্যাঁ ভাই। বড় এক বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা। রান্নার সময় ওর হাতের একটা অংশে আগুনের আঁচ লেগে চামড়া কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চুলেও লেগেছে। ডাক্তার বলেছে দুই সপ্তাহ লাগবে, ঠিক হয়ে যাবে। আশা করছি বড় কোন সমস্যা হবে না।'

তবে দুর্ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (২৭ মার্চ)। তখন কিছু জানা যায়নি। ঘটনার দু’দিন পর রোববার (২৯ মার্চ) রাতে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি জানান লিটনের পত্নী।

স্ট্যাটাসে সঞ্চিতা লিখেছিলেন, 'আসলে আমি একটি দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছিলাম। তাই মেসেঞ্জারে অ্যাক্টিভ ছিলাম না, অনেকের উত্তর দিতে পারিনি। গত পরশু বরাবরের মতই আমি রান্নাঘরে যাই চা বানাতে। আমি যখন চুলা প্রথমবার অন করি তখন অল্প জ্বলে তা নিভে গেল। এরপর দ্বিতীয়বার বার্নার প্রেস করতেই বিস্ফোরণ হয়। নতুন বাসা তাই সিলিন্ডার ব্যবহার করি। যদিও সিলিন্ডারটা নিচে ছিল। নিচের সমস্ত কেবিনেটে এক সঙ্গে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে যেভাবে আগুন বের হয়, ঠিক সেভাবেই বের হয়েছিল। আমি ডান হাত দিয়ে মুখটা রক্ষা করার চেষ্টা করি। তাই ডান হাতটা বেশি পুড়ে গেছে এবং ঘুরে যাওয়ার কারণে পেছনের প্রায় সব চুলেই আগুন ধরে গিয়েছিল। নিজেকে কোনোভাবে রক্ষা করি।'

দুর্ঘটনার ভয়াবহতা উল্লেখ করে আরও লিখেছিলেন, 'আগের দিনই আমার মনে হয়েছিল যে গ্যাস প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তবে এটা (চুলা) কাজ করায় আমি গুরুত্ব দিচ্ছিলাম না। হয়তো গ্যাস শেষ, তাই এভাবে বিস্ফোরণ হয়েছিল। আমি এটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর এটা আমার পক্ষে ভোলাও সম্ভব নয়। কারণ মৃত্যুর অনেক কাছ থেকে ফিরে এসেছি। সামনে হাত দিয়ে ঘুরে না দাঁড়ালে পুরো মুখটাই পুড়ে যেত। এখন আমার চুল কাটতে হবে। এটা খুব কষ্টদায়ক। তবে ঠিক হয়ে যাবে। যদি মুখে আগুন লেগে যেত, কী হতো জানিনা। তাই এসব ক্ষেত্রে সবসময় সবাই খুব সাবধান থাকবেন। আপনাদের সকলের দোয়া প্রার্থী।'

লিটনের সঙ্গে সঞ্চিতার বিয়ে এক বছরও পার হয়নি। গত বছর ২৮ জুলাই লিটনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সঞ্চিতা। কদিন আগে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দুস্থদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন লিটন ও তার স্ত্রী সঞ্চিতা। সপ্তাহ পার না হতেই এবার একটি দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে খবরে এলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago