ছুটির মেয়াদ আরও বাড়বে: প্রধানমন্ত্রী

দেশে চলমান ছুটি সীমিত আকারে বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশে চলমান ছুটি সীমিত আকারে বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ছুটিটা সীমিত আকারে বাড়াতে হবে। কিন্তু সেটা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য চিন্তা করে বলবো, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সেটা ছাড় দেবো।’

‘আমাদের যারা শ্রমিক শ্রেণি আছে বা অন্যান্য যারা আছে, তারা যেন কষ্ট না পায়। তাদের তালিকা ইতোমধ্যে করতে বলেছি। তাদের যেভাবে সাহায্য দরকার আমরা সে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো’, যোগ করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে। নিজে সচেতন না হলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রয়োজন ছিল জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সেটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেটি আমরা করতে পেরেছি বলেই আজকে প্রায় তিন মাসের কাছাকাছি হয়ে গেল, আমরা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

দেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা:

  • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষের আওতার মধ্যে থাকে। মানুষের দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে অযথা দাম বাড়িয়ে মুনাফা নেওয়া অমানবিক। সবাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন।
  • গুজবে কান দিবেন না। ফেসবুক বা বিভিন্ন অ্যাপসে অনবরত গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে। দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ বলেন।  যারা এগুলো করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সাথে সাথে নিতে হবে।
  • আসন্ন বাংলা নববর্ষে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গান-বাজনা করা যাবে। নববর্ষ উপলক্ষে কোন জমায়তে চলবে না। নববর্ষের অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারেন।
  • সীমিত আকারে অফিস-আদালত যা কিছু সব চলার সেটা আমরা কিছু কিছু চালু করে দিবো। সেটা আমি বসে কোনটা কী করা যায় দেখবো। কারণ মানুষের আয়-উপার্জনের কিছু পথ যাতে খোলা থাকে। সে ব্যবস্থাটাও আমি নেবো।
  • জ্বর, হাঁচি-কাশি হলে লুকিয়ে রাখবেন না। লুকাতে গিয়ে পরিবারের সর্বনাশ করবেন না।
  • শুধু ঢাকায় নয়, বিভাগীয় পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
  • জীবন থেমে থাকবে না। করোনা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।
  • সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
  • নার্সদের সুরক্ষার প্রয়োজন।
  • কোনো পর্যটক যেন কক্সবাজারে না যায়।
  • রোহিঙ্গা শিবিরে নিজেদের লোক দিয়ে সব কাজ করাবো। বাইরের কাউকে দরকার নেই।
  • খেটে খাওয়া মজুরদের দিকে নজর দিতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

JP headed for yet another split?

Jatiya Party, the main opposition party in parliament, is facing another split centering the conflict between its Chairman GM Quader and Chief Patron Raushan Ershad over MP nominations, party insiders said.

53m ago