সামাজিক দূরত্ব বাঁচিয়ে দিতে পারে কোটি মানুষের প্রাণ: গবেষণা

সামাজিক সঙ্গ কমিয়ে না আনলে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে এ বছর বিশ্বের প্রায় ২ কোটি লোক মারা যেতে পারে। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকদের তৈরিকৃত গাণিতিক মডেল অনুসারে এ তথ্য জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
HEALTH-CORONAVIRUS-USA.jpg
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের ক্যাশম্যান সেন্টারের পার্কিংয়ে গৃহহীনদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দাগ টেনে দেওয়া হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

সামাজিক সঙ্গ কমিয়ে না আনলে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে এ বছর বিশ্বের প্রায় ২ কোটি লোক মারা যেতে পারে। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকদের তৈরিকৃত গাণিতিক মডেল অনুসারে এ তথ্য জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

ওই মডেলে উল্লেখ করা হয়েছে, সবক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদ্যোগ না নিলে, ভাইরাসটি বিশ্বের ৪ কোটি লোকের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। তবে মানুষ তার সামাজিক সঙ্গ ৪০ শতাংশ এবং বৃদ্ধরা তাদের পারস্পরিক সংযোগ ৬০ শতাংশ কমানোর মাধ্যমে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, যত আগ্রাসী উদ্যোগ নেওয়া হবে পরবর্তীতে মৃতের সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। কত কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারবে এবং কতদিন তা বলবৎ রাখতে পারবে, আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে সব সরকারকে এ ধরনের ‘চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্তের’ মুখোমুখি হতে হবে বলেও সতর্ক করেছেন তারা।

গবেষকরা হিসাব করে দেখেছেন, আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনার মাধ্যমে আগেভাগেই যদি বৃহৎ পরিসরে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে বহাল রাখা যায়, তাহলে ৩ কোটি ৮৭ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে।

বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার, সংক্রমণ ও ছড়ানো রোধে গৃহীত উদ্যোগ এবং এর সুফল প্রাপ্তি ও ব্যর্থতার তথ্য নিয়ে এই গাণিতিক মডেলটি দাঁড় করেছেন গবেষকরা। গত শুক্রবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, সংক্রামক এই ভাইরাস সমগোত্রীয় অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি ছোঁয়াচে এবং শক্তিশালী। তাদের মতে, যেহেতু এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, তাই প্রতিরোধই আপাতত একমাত্র সমাধান। সেহেতু ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখাই প্রাথমিক কর্তব্য।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর তথ্যানুসারে, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪৪ জন। মারা গেছেন ৪২ হাজার ৩৩৯ জন। চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩০ জন।

এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭৮ জন এবং ইতালিতে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৪২৮ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago