সোবাহানের ঝুপড়ি ঘরে পৌঁছেছে ত্রাণ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় পীরতলা বাজার ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খালের পাশে ঝুপড়ি ঘরে থাকেন সোবাহান হাওলাদার। তার বয়স এখন ৬৫ বছর। পলিথিন দিয়ে তৈরি ঘরে প্রায় ১০ বছর ধরে বাস করছেন তিনি। দুমকি উপজেলায় বাস করলেও সরকারি সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় কোনো সুবিধা পান না।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলাচল সীমিত করায় তিন দিন অভুক্ত ছিলেন সোবহান। গতকাল বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মাইনুল হাসান, দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর কুমার রায় ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল-ইমরান তার ঘরে ১৫ দিনের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন।
আল-ইমরান বলেন, বৃদ্ধ সোবাহানকে ৩০ কেজি চাল, নগদ এক হাজার টাকা, দুই কেজি মুড়ি, দুই কেজি গুড় দেওয়া হয়েছে। তাকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প থেকে একটি ঘরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিনি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার মানুষ। দীর্ঘদিন এখানে থাকলেও ভোটার তালিকায় তার নাম নেই।
শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম সালাম বলেন, সোবাহান দিনমজুর ছিলেন। বয়সের ভারে এখন আর কাজ করতে পারেন না। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত তিন দিন শুধু পানি খেয়ে কাটিয়েছেন। বিষয়টি জানার পরে মঙ্গলবার আমি তার ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি। তাকে বয়স্কভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের দেওয়া তালিকায় নাম না থাকায় এতদিন বিষয়টি আমার নজরে আসেনি।
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে খালপাড়ে একটি পলিথিনের ঝুপড়িতে একাই বাস করছেন সোবাহান। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই। প্রায় ২০ আগে ১০ শ্রেণিতে পড়ার সময় ছেলের মৃত্যু হয়। একমাত্র মেয়েকে পটুয়াখালীর লাউকাঠী এলাকায় দিনমজুরের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও সোবাহান হাওলাদারকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়। সোবাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সরকারের কাছে মাথা গোঁজার একটি ঘর চাই। তাহলে মরার আগে একটু শান্তিতে থাকতে পারি।
Comments