না ফেরার দেশে বৃষ্টি আইনের জনক টনি লুইস

ছবি: সংগৃহীত

প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি জন্য ব্যবহৃত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির যৌথ উদ্ভাবকের একজন টনি লুইস মারা গেছেন। বুধবার (৩ মার্চ) রাতে ইহলোক ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী এ গণিতবিদ।

আগের দিন রাতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এক বিবৃতিতে লু্ইসের মৃত্যু সংবাদের কথা জানায়, ‘টনি লুইসের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়াটা বোর্ডের জন্য দুঃখজনক। টনি এবং তার বন্ধু ফ্র্যাঙ্কের কাছে ক্রিকেট বিশ্ব ঋণী। আমরা তার বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।’

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচের জন্য অদ্ভুত এক নিয়ম ছিল আইসিসির। বৃষ্টিতে ম্যাচের পরিধি কমে আসলে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা দলের মেডেন ওভার ও কম রান নেওয়া ওভারগুলো বাদ দেওয়া হতো। যে নিয়মের মারপ্যাঁচে পড়ে ১৯৯২ সালে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর পাঁচ বছর পর ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস সহজ একটি নিয়ম তৈরি করেন। বর্তমানে বৃষ্টি বাগড়া দিলে ক্রিকেট ম্যাচে যারা পরে ব্যাটিং করবে তাদের লক্ষ্য কত হতে পারে তা এ ফর্মুলা দিয়ে বের করা হয়। তবে ২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আবিষ্কারের পর এই নিয়মের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পরে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন কার্যকরীভাবে এই নিয়মের হালনাগাদ করেন। ফলে এর বর্তমান নাম ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন মেথড।

আশির দশক থেকেই বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ নিয়ে কাজ করছিলেন ডাকওয়ার্থ। তখন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা তাকে আমলে নেননি। পরে ১৯৯২ সালে তার সঙ্গে যুক্ত হন লুইস। তখন থেকে দুজনে হিসাবনিকাশ শুরু করেন। পরে ১৯৯৭ সালে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলেন। তার প্রায় দুই বছর পরীক্ষামূলকভাবে দেখার পর ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড গ্রহণ করে আইসিসি।

Comments

The Daily Star  | English

Netanyahu says Israel close to meeting its goals in Iran

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

19h ago