‘সৌরভের মতো সমর্থন ধোনী-কোহলির কাছ থেকে পাইনি’

যুবরাজ সিং যখন ভারতীয় ক্রিকেটে উঠতি তারকা, এমনকি অনেকের ভাবনায় ভবিষ্যৎ অধিনায়ক। তখন কোন আলোচনাতেই ছিলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনী। যুবরাজের ৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখে ধোনী এক সময় হয়ে যান অধিনায়ক, আনেন অনেক সাফল্য। সেই ধোনীর অধীনে খেলাটা যে খুব উপভোগ করেননি স্পষ্ট করেছেন যুবরাজ। এমনকি বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গেও সময়টা ভালো যায়নি তার। এই অলরাউন্ডারের আসল নেতা এখনো তাই সৌরভ গাঙ্গুলি।
২০১৭ সালে সর্বশেষ ভারতের হয়ে খেলেছিলেন যুবরাজ। গত বছর আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় নেন অবসর। ক্যারিয়ারে যুবরাজের প্রাপ্তি অনেক। কিন্তু তার মতে আরেকটু সমর্থন পেলে আলো ঝলমলে হতে পারত শেষটাও।
২০০০ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক বাঁহাতি যুবরাজের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটা দিয়েই তাই তার আসল শুরু। প্রথমবার ব্যাট করতে নেমেই করেছিলেন ৮০ বলে ৮৪ রান। এরপর আলো ছড়িয়েছেন, আবার ধারাবাহিকতার অভাবে হতাশাও কুড়িয়েছেন।
কিন্তু অধিনায়ক গাঙ্গুলি বরাবরই তার উপর রেখেছেন আস্থা, তার মাঝে দেখেছিলেন বড় কিছুর আভাস। সেটা সত্যিও হয়েছিল। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০১১ সালে ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে যে সবচেয়ে বড় অবদান যুবরাজেরই। অথচ এই দুটি টুর্নামেন্টে অধিনায়ক ছিলেন ধোনী।
ভারতীয় গণমাধ্যম স্পোর্টসস্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে যুবরাজ ইঙ্গিত দিলেন এত অবদানের পরও খারাপ সময়ে তবু সমর্থন মেলেনি ধোনীর, ‘সৌরভের অধীনে আমি খেলেছি এবং অনেক সমর্থন পেয়েছি। তারপর মাহি (ধোনী) দায়িত্ব পেল। সৌরভ আর মাহি থেকে একজন (সেরা হিসেবে) বেছে নেওয়া কঠিন। সৌরভের অধীনের খেলার সময় আমার অনেক স্মৃতি আছে কারণ তিনি আমাকে সমর্থন করতেন। ওই রকম সমর্থন মাহি বা বিরাটের কাছ থেকে পাইনি।’
বর্তমান ভারতীয় দলেও ক্রিকেটারদের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়ন নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার। তার মতে ক্রিকেটারদের খেলার বাইরের জীবনের সংকটও যেন দেখার কেউ থাকেন, ‘ভারতীয় দলে এমন একজন দরকার যে মাঠের বাইরের ব্যাপার সমাধান করবে। মাঠের বাইরের ইস্যু মাঠের পারফরম্যান্স প্রভাবিত করে।’
‘প্যাডি আপটনের (সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ) মতো একজন দরকার, যে অন্য বিষয় যেমন জীবন, ভীতি, ব্যর্থতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলবে।’
Comments