লা লিগা বাতিল হলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯৫৭ মিলিয়ন ইউরো

করোনাভাইরাসের কারণে মাস খানেকের বেশি সময় পার হলো স্থগিত হয়ে আছে পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ লিগ লা লিগা। পরিস্থিতি যেভাবে আগাচ্ছে তাতে শীগগিরই বল মাঠে গড়ানোর আভাস নেই। এমনকি চলতি মৌসুমই বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বড় ক্ষতির সামনে পড়তে যাচ্ছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। অথচ কদিন আগেও এতোটা ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা করেনি কর্তৃপক্ষ।
messi
ছবি: লা লিগা টুইটার

করোনাভাইরাসের কারণে মাস খানেকের বেশি সময় পার হলো স্থগিত হয়ে আছে পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ লিগ লা লিগা। পরিস্থিতি যেভাবে আগাচ্ছে তাতে শীগগিরই বল মাঠে গড়ানোর আভাস নেই। এমনকি চলতি মৌসুমই বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বড় ক্ষতির সামনে পড়তে যাচ্ছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। অথচ কদিন আগেও এতোটা ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা করেনি কর্তৃপক্ষ।

সপ্তাহ দুই আগেও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ধারণা করেছিল, চলতি মৌসুম মাঠে না গড়ালে তাদের ক্ষতি হবে ৬৪৮ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে তার দেড় গুণেরও বেশি ক্ষতি হবে তাদের। আনুমানিক ৯৫৬.৬ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা। তবে যদি বন্ধ দরজায় দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজন করা যায় সেক্ষেত্রে ক্ষতি পরিমাণ হবে ৩০৩.৪ মিলিয়ন ইউরো। আর স্বাভাবিকভাবে দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে আয়োজন করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে। ১৫৬.৪ মিলিয়ন ক্ষতি হবে তাতে।

মাঠে ফুটবল না গড়ালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে খেলোয়াড়দের। ৪৭ শতাংশ (৯৫৬.৬ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ৪৫২ মিলিয়ন ইউরো) ক্ষতি হবে তাদেরই। তবে বন্ধ দরজায় খেলা হলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে। সেক্ষেত্রে ৪৬ শতাংশ (৩০৩.৪ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো) লস গুনতে হবে খেলোয়াড়দের। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় খেলা হলে ক্ষতির পরিমাণটা হবে খুব সামান্যই। মোট ১৫৬ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতির মধ্যে খেলোয়াড়দের লস ৭৭ মিলিয়ন ইউরো। শতাংশের হিসেবে অবশ্য ৪৯ ভাগ।

বল এখন সম্পূর্ণই স্প্যানিশ ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এএফই) উপর। খেলোয়াড়দের এতো বড় ক্ষতিটা তারা মেনে নিবে কি-না তার সিদ্ধান্ত দিবে তারাই। এএফইর সভাপতি দাভিদ আগানজো ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে আলোচনা করছেন। 

এখন পর্যন্ত, লা লিগা ও সেগুন্দা ডিভিশনে খেলা হয়েছে যথাক্রমে ২৭ রাউন্ড ও ৩১ রাউন্ড। দুই লিগেই বাকি আরও ১১টি করে রাউন্ড। লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিপুল আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি এই রাউন্ডগুলোর টিভি রাজস্ব, সিজন টিকেট ও ম্যাচ ডে টিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

লিগ কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, লা লিগা চালু না হলে টিভি রাজস্বের ৪৯৪ মিলিয়ন ইউরো, সিজন টিকেটের (পুরো মৌসুমের টিকেট আগে থেকে কিনে রাখা) ৭৮.১ মিলিয়ন ইউরো এবং ম্যাচ ডে টিকেটের (নির্দিষ্ট ম্যাচের টিকেট) ৩৮.৮ মিলিয়ন ইউরো লোকসান হবে। আর সেগুন্দা ডিভিশনের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ যথাক্রমে ৫৫ মিলিয়ন ইউরো, ৯.৯ মিলিয়ন ইউরো ও ২.৬ মিলিয়ন ইউরো।

উল্লেখ্য, স্পেনে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পরিস্থিতি দিনকে দিন ভয়ানক হচ্ছে। লাখ ছাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন। সেই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার তিন জন মারা গেছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারা গেছেন ৬১৬ জনের বেশি মানুষ।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago