করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশিষ্ট নাগরিকদের ৬ পরামর্শ
দেশে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠার আগেই সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ৫৫ বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠন।
আজ শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছয়টি পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে, অন্তত তিন মাসের জন্য এক কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে খাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যাদির যোগান দেওয়া, এই এক কোটি পরিবারের চিকিৎসা বিনামূল্যে নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসল, সবজি, ফলের সঠিক দাম নিশ্চিত করার জন্য সরকারের ক্রয়ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা, সব প্রতিষ্ঠানে বেতন মজুরি নিশ্চিত করা, ক্ষুদে উদ্যোক্তা ও কৃষকদের জন্য সহজশর্তে ঋণ সহজলভ্য করা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণ ও সরকারি সহায়তা নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া এবং হাম আক্রান্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং জরুরি মানবিক সহায়তা দেওয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সময়ে শহরে ও গ্রামে এই কোটি কোটি মানুষের খাদ্য, ন্যূনতম চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার সমন্বিত, স্পষ্ট এবং সম্মানজনক কর্মসূচি সরকারকেই নিতে হবে। এজন্য অর্থ যেমন দরকার, তেমনি দরকার দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা।
এতে বলা হয়, তাদের হিসেবে এজন্য ৭০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ বরাদ্দ প্রয়োজন। তবে এই বরাদ্দের জন্য জনগণের ওপর নতুন করে করের বোঝা না চাপানোর কথাও বলেন তারা।
প্যাকেজ বরাদ্দ ঘোষণা করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করলে সরকারের পক্ষে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে সই করেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. পারউইন হাসান, আলোকচিত্রী ও লেখক ড. শহিদুল আলম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষক ড. স্বপন আদনান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নারী অধিকার কর্মী শিরীন প. হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. আকমল হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সমাজকর্মী খুশি কবীর, ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সি আর আবরার ও গীতি আরা নাসরীন, বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খানসহ ৫৫ বিশিষ্ট জন।
Comments