অনর্থক টি-টোয়েন্টি খেলার কোন মানে দেখেন না কোহলি
সাম্প্রতিক সময়ে প্রায়ই তাকে কোন না কোন টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে যেতে দেখা গেছে। এমনকি মাঝে মাঝে ওয়ানডেতেও বিশ্রাম নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু টেস্ট সামনে এলেই তার প্যাশন, নিবেদন উঠে ভিন্ন মাত্রায়। সাদা পোশাকে নিজের ক্যারিয়ার আরও লম্বা করতে অনর্থক টি-টোয়েন্টি খেলার কোন মানে দেখেন না তিনি। এমনকি দুই-তিন বছর পর সীমিত পরিসরের যেকোনো একটি থেকে একেবারেই অবসর নেওয়ারও ভাবনা কোহলির।
সম্প্রতি ইন্সটাফ্রামে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসনের সঙ্গে লাইভ আড্ডা দেন কোহলি। সেখানে নানান রকম খুনসুটি, মজার ঘটনার পাশাপাশি আলোচনা হয় সিরিয়াস বিষয় নিয়েও।
আলোচনার এক পর্যায়ে পিটারসন কোহলিকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার কি মনে হয় না অনেক বেশি খেলা হয়ে যাচ্ছে? আমার যেমন ক্যারিয়ারে এটা নিয়ে ইসিবির সঙ্গে অনেক বিরোধ হতো।’ উত্তরে একমত হয়েই স্পষ্ট জবাব ভারত অধিনায়কের, তাতে বেরিয়ে এসেছে টেস্টের প্রতি তার নিখাদ টান, ‘সত্যিই আমার বিশ্রামের প্রয়োজন। অনেক খেলতে হয় সেজন্য গত দুই-তিন বছরে যখনই পেরেছি বিশ্রাম নিয়ে নিয়েছি। এই একট ওয়ানডে সিরিজ, পরেই আবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ হচ্ছেই। এর ফেরে পড়ে আমি টেস্ট ক্রিকেটটা একদিনের জন্যও মিস করতে চাই না।’
গত দুই তিন বছরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কোহলি। অনর্থক এসব ম্যাচ খেলতে ভেতর থেকে উৎসাহ পান না তিনি, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনেও অনেকবার বলেছি যে, কিছু কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয় যার কোন অর্থ নেই। এসব ম্যাচ খেলার জন্য আমি কোন অনুপ্রেরণা খুঁজে পাই না। এভাবে খেলাটা আমার পছন্দ নয়।’
২০০৮ সালে ওয়ানডে দিয়ে শুরু কোহলির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি আর ২০১১ সাল থেকে খেলছেন টেস্ট। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এরমধ্যে তিনি খেলে ফেলেছেন ৪১৬ ম্যাচ। এছাড়া প্রতিবছর আইপিএলের চাপ তো আছেই। কোহলি তাই ঠিক করেছেন ২০২৩ বিশ্বকাপের পর ভাববেন নতুন করে। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি কোন একটি থেকে একেবারে অবসর নিয়ে টেস্ট চালিয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি, ‘গেল ৯ বছর ধরে তিনটা ফরম্যাটে খেলে চলেছি, আইপিএল তো আছেই, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়কত্ব করছি। সব কিছু এত সহজ না।’
‘আমি দুই-তিন বছরের একটা সময় বেঁধেছি। আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সর্বোচ্চটাই দেব। এরপরও চিন্তা করব কোন ফরম্যাট (ছাড়া যায়)।’
Comments