করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় বাড়ি-দোকান লকডাউন

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় সাতটি বাড়ি, আটটি দোকান ও একটি প্যাথলজি সেন্টার লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এগুলো লকডাউন করা হয়।
ম্যাপ।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় সাতটি বাড়ি, আটটি দোকান ও একটি প্যাথলজি সেন্টার লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এগুলো লকডাউন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের শ্বশুর বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পর এক র‌্যাব সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সে কারণে তার সংস্পর্শে থাকায় টেকনাফের পুরাতন পল্লান পাড়ার সাতটি বাড়ি, আটটি দোকান ও একটি প্যাথলজি সেন্টার লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢাকায় ওই র‌্যাব সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। কয়েকদিন আগে তিনি টেকনাফের শ্বশুর বাড়ি থেকে ঢাকা যান। সে কারণে তার সংস্পর্শে আসা এখানকার সাতটি বাড়ি, আটটি দোকান ও একটি প্যাথলজি সেন্টার লকডাউন করে রাখা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই র‌্যাব সদস্য গত ২০ মার্চ ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ছয় দিন এখানে থাকার পর ঢাকায় ফিরে গেলে তার শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া যায়। এরপর তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চিকিৎসকরা জানতে পারেন যে অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি টেকনাফে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

ঢাকা থেকে খবর পাওয়ার পরপরই গতকাল রাতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি দল ওই র‌্যাব সদস্যের শশুর বাড়ির এলাকা পল্লান পাড়ায় গিয়ে তার শ্বশুর বাড়িসহ আশপাশে থাকা সাতটি বাড়ি, আটটি দোকান ও একটি প্যাথলজি সেন্টার লকডাউন করে দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আইইডিসিআরের মাধ্যমে ওই র‌্যাব সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অবগত হই। তিনি টেকনাফে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানতে পারি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago