ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: হোম ডেলিভারি নেবেন যেভাবে

শাটডাউন থাকায় মানুষের সময় কাটছে ঘরে বসে। অস্থায়ী এই নতুন জীবনযাত্রায় বাদ পড়েছে দৈনন্দিন প্রায় সব ধরনের কাজ। অফিসে যাওয়া, স্কুলে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, কেনাকাটা করতে যাওয়া সবই বন্ধ।
ঢাকায় মিরপুর-১০ এ খাবার সরবরাহ করছেন একজন সাইকেল চালক। ছবি: আমরান হোসেন

শাটডাউন থাকায় মানুষের সময় কাটছে ঘরে বসে। অস্থায়ী এই নতুন জীবনযাত্রায় বাদ পড়েছে দৈনন্দিন প্রায় সব ধরনের কাজ। অফিসে যাওয়া, স্কুলে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, কেনাকাটা করতে যাওয়া সবই বন্ধ।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে কেনাকাটা তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেশব্যাপী চলমান এই বন্ধের সময় ঢাকা শহরের অনেকেই এখন এখন মুদি বা গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় খাবার ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁর খাবার অনলাইনে কিনে নিচ্ছেন।

তবে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়ছে। আর এর সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকিও। তাই, বাড়িতে অনলাইন ডেলিভারির পণ্য গ্রহণ করা নিরাপদ কি না, তা নিয়েও তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ‘সংক্রমিত কারও মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্য দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ও আবাসিক কার্ডিওলজিস্ট কাউসার আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আপনি যদি পণ্যের মোড়কের উপরিভাগ দূষিত বা অপরিষ্কার মনে করেন তাহলে সেগুলো ঘরের বাইরে খুলে ফেলতে পারেন। যতদ্রুত সম্ভব মোড়ক খুলে ফেলে দেওয়া উচিত।’

তিনি জানান, পার্সেলগুলো যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় তাহলে তা নিরাপদ। অর্থাৎ, যারা এই পার্সেল ডেলিভারির সঙ্গে জড়িত তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলে সমস্যা নেই।

কাউসার আলমের পরামর্শ, ‘যদি একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমণ শুরু হয়, তাহলে এটা (পার্সেল নেওয়া) এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ ৮০ শতাংশ (আক্রান্ত) মানুষের মধ্যে হালকা বা মাঝারি উপসর্গ থাকতে পারে বা এমনও হতে পারে যে কোনো লক্ষণই দেখা যায় না।’

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত খাদ্য বা খাদ্য প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হতে পারে তার কোনো প্রমাণ নেই, যদিও ভাইরাসটি বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত ভূপৃষ্ঠে বাঁচতে পারে বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য সমস্যাটি হলো যিনি ডেলিভারি দিতে আসছেন তার থেকে গ্রাহক বা গ্রাহক থেকে তার মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানের আশঙ্কা থাকে।’

অনলাইন ডেলিভারিম্যানকে দরজা বা সংশ্লিষ্ট ভবনের নিচতলায় পার্সেল নামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কাউসার আলম। সেখান থেকে ক্রেতা পার্সেল সংগ্রহ করতে পারেন। এতে তারা প্রত্যক্ষভাবে সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে না।

তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য পার্সেল ধরার পর নিজের বা অন্য কারও মুখে হাত না দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago