রোনালদোর হেয়ার স্টাইলের কারিগর এখন তার বান্ধবী

করোনাভাইরাসে গৃহবন্দী থাকা রোনালদোর চুল কেটে দিচ্ছেন তার বান্ধবী! চুল কাটার এমন এক ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
Ronaldo

ফুটবল মুন্সিয়ানার সঙ্গে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর স্টাইলের কদরও বিশ্বজোড়া। তার দাঁড়ানোর ভঙ্গি, উদযাপন সবই যেন আইকনিক। সেইসঙ্গে তার চুলের স্টাইলেরও আছে আলাদা খ্যাতি। চুলের স্টাইলকে অন্যমাত্রায় তুলে একটা ব্র্যান্ডই বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে নরসুন্দরের কাছে যে আর যেতেই পারছিলেন না। উপায়হীন অবস্থায় তাই এগিয়ে এসেছেন তার বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ।

করোনাভাইরাসে গৃহবন্দী থাকা রোনালদোর চুল কেটে দিচ্ছেন তার বান্ধবী! চুল কাটার এমন এক ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। ভিডিওর ক্যাপশনে ভক্তদের উদ্দেশ্যে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড লিখেছেন, ‘বাড়িতে থাক, স্টাইলিশ থাক।’

সেরা তারকা হওয়ার আগে থেকেই অবশ্য চুলের ব্যাপারে আলাদা নজর ছিল রোনালদোর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে জুভেন্টাস। বছরের পর বছর পায়ের জাদুতে মাত করে যাওয়া এই তারকা আরেকটা কাজ নিয়ম মেনেই করেন- প্রতি সপ্তাহে নরসুন্দরের কাছে গিয়ে চুলের স্টাইল করানো। এতদিন পেশাদার হাতের ছোঁয়া তার মাথায় লাগলেও এবার হচ্ছে ব্যতিক্রম।

ট্রিমার দিয়ে জর্জিনা কেমন চুল কেটেছেন তা হয়তো ছবি তুলে পরে ভক্তদের দেখাবেন ৩৫ বছর বয়সী রোনালদো। কিন্তু উপায়ন্তর না থাকায় এই প্রক্রিয়াও তার বেশ মনে ধরেছে। থাম্বস আপ’ (তর্জনী উঁচিয়ে দারুণ কোনো কিছু বোঝানো ইঙ্গিত) দিয়ে সেই অভিব্যক্তিই তিনি জানিয়েছেন পর্তুগিজ ভাষায়।

নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রভাবে গোটা দুনিয়া কাবু। যে ইতালিতে পেশাদার ফুটবলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন রোনালদো, সেই দেশের অবস্থা কাহিল। সেখানে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজারেরও বেশি। রোনালদোর দেশ পর্তুগালে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে, সেখানে মারা গেছেন ২৬৬ জন।

মহামারির কারণে খেলাধুলাসহ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনই স্থবির। কবে আবার সব ঠিক হবে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। রোনালদোর চুল হয়তো তার বান্ধবীকেই আরও বারকয়েক কেটে দিতে হবে!

Comments

The Daily Star  | English
Foreign investors confidence in Bangladesh

Safety fear jolts foreign investors’ confidence

A lack of safety in foreign manufacturing and industrial units in Bangladesh, stemming from the debilitating law and order situation and labour unrest, has become a cause of major concern for foreign investors, denting their confidence.

15h ago