নোয়াখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

নোয়াখালীর সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নয় জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক নারীসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ম্যাপ।

নোয়াখালীর সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নয় জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক নারীসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্তার ও মোকাররম গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  দীর্ঘদিন ধরে চর কাউনিয়া এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী মোকারম ও ছাত্তার গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সবশেষ গতকাল রাতে মোকাররম গ্রুপের লোকজন ছাত্তার বাহিনীর অনুসারী আকরামের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনার জের ধরে রাতে চরকাউনিতে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

সে সময় মোকাররম বাহিনীর লোকজন আকরামের পোলট্রি ফার্মের দিকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে এক নারীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। সব মিলিয়ে  নয় জন আহত হন। 

গুলিবিদ্ধ চার জন হলেন— ওই গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আবু জাকের (৬০), আবু জাকেরের ছেলে জহির উদ্দিন (২৭), আবুল কাসেমের ছেলে আবদুল মান্নান (১৯) ও আবুল কাসেমের মেয়ে নাজমা আক্তার (৩০)। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

গুলিবিদ্ধদের অভিযোগ, স্থানীয় মোকারম, আবু ছায়েদ, পেয়ার আহমদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। সে সময় সন্ত্রাসীরা তাদের মুরগির ফার্মে ও বসত ঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ‘গতকাল রাত ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে চার জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। আহত ব্যক্তিরা হাত, পা ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘উভয় পক্ষই সন্ত্রাসী বাহিনী। নিজেদের মধ্যে বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে নয় জন আহত হয়েছেন। এক নারীসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

নোয়াখালীর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে, গুলি, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ খুঁজছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago