ফিলিপাইনে চলল গুলি, লকডাউন অমান্যকারী নিহত

ফিলিপাইনে করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারী একজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার আগুসান দেল নর্তে প্রদেশের নাসিপিত শহরে এ ঘটনা ঘটেছে।
লকডাউনের ঘোষণার পর ম্যানিলার জনশূন্য রাস্তা। ছবি: রয়টার্স

ফিলিপাইনে করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারী একজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার আগুসান দেল নর্তে প্রদেশের নাসিপিত শহরে এ ঘটনা ঘটেছে।

আল জাজিরা জানায়, শহরের করোনাভাইরাস চেক পয়েন্টে ৬৩ বছর বয়সী এক জনকে আটকানো হলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে কর্মকর্তা ও পুলিশকে তিনি হুমকি দিতে থাকেন। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি মদ্যপ ছিলেন। তিনি পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বাজে মন্তব্য ও হুমকি দিচ্ছিলেন।

সরকারি ত্রাণের জন্য লকডাউন অমান্য করে রাজধানী ম্যানিলায় বস্তিতে বিক্ষোভ হয়েছে। সেসময় পুলিশ তাদের ঘরে ফেরার নির্দেশ দিলেও তারা প্রত্যাখান করে। ওইসময় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনার পরপরই লকডাউনের নির্দেশ না মানলে গুলি করে মারা হতে পারে বলে সতর্ক করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাই আমি আবারও সবাইকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করছি এবং এটা মেনে চলতে হবে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে বলছি, তারা যদি কোনো সমস্যা করে এবং এমন কিছু করে যাতে আপনাদের জীবন হুমকিতে পড়ে তাহলে তাদের গুলি করে হত্যা করুন।’

গুলি করে মারার বিষয়টি পরিষ্কার করে তিনি বলেন, ‘বুঝতে পেরেছেন? হত্যা। ঝামেলা তৈরি করলে তাকে আমি কবর দেব।’

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, দুতার্তের মতো বিশ্বজুড়ে নেতারা ‘সমালোচনা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখা’র জন্য কোভিড-১৯ মহামারিকে ব্যবহার করছেন।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘এটি গভীর উদ্বেগজনক যে রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতার্তে গুলি করে হত্যার নীতি বাড়িয়েছে। কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি মোকাবেলায় অনিয়ন্ত্রিত বাহিনী মোতায়েন কখনই সঠিক পদ্ধতি না।’

Comments

The Daily Star  | English

Former planning minister MA Mannan arrested in Sunamganj

Police arrested former Planning Minister MA Mannan from his home in Sunamganj's Shatiganj upazila yesterday evening

3h ago