৪০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন ব্রাজিলের জেসুস

করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। অনেকেরই আয়-রোজগারের পথ বন্ধ। ফলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন পড়েছেন বড় দুশ্চিন্তায়। সাও পাওলোর ঠিক এমনই ৪০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দান করলেন ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। অনেকেরই আয়-রোজগারের পথ বন্ধ। ফলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন পড়েছেন বড় দুশ্চিন্তায়। সাও পাওলোর ঠিক এমনই ৪০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করলেন ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

নিজের শৈশবটা সাও পাওলো ছোট্ট শহর জারদিম পেরিতে কাটিয়েছেন জেসুস। সেখানেই সাধারণ মানুষদের খাদ্য সহায়তা করেন তিনি। মূলত স্থানীয় বন্ধু জে রোবার্তো তাকে এলাকার দুস্থ মানুষদের সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানান। রোবার্তো নিজেও একজন ফুটবলার। পালমেইরাসে একই তাবুতে খেলেছেন তারা। সেই বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ৪০০ প্যাকেট খাবার পাঠান এ  ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

এ প্রসঙ্গে ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেসুস বলেন, 'আমার বন্ধু জে রোবার্তো সবসময়ই এসব উদ্যোগ নেয় এবং পরবর্তীটা নিয়ে চিন্তা করে। সত্যি বলতে আমরা যখনই পারি সাহায্য করতে চেষ্টা করি। ওই আমাকে বলেছে এখানে অনেকেই খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আমি কিছু সাহায্য করতে পারি কি-না এবং আমি ওর প্রস্তাব মেনে নেই।'

'আমি সিদ্ধান্ত নেই খাবারের প্যাকেটগুলো জারদিম পেরির ওইখানে পাঠাব যেখানে আমি বড় হয়েছি। আমার বিশ্বাস আমি যতোটা পারি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে সেখানকার প্রত্যেককে সাহায্য করতে পারব।' - যোগ করে আরও বলেন জেসুস।

এ ধরনের দাতব্য কাজে এবারই প্রথম নন জেসুস। এর আগেও স্থানীয় জনগণদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছে গ্লোবো। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সময় ১৭ বছর বয়সে এলাকার প্রত্যেকটি রাস্তা হলুদ ও সবুজ রঙে রাঙিয়েছিলেন তিনি। চার বছর পর তিনিই রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।

ইউরোপ-আমেরিকার মতো করোনাভাইরাস ব্রাজিলেও ব্যাপক মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক। এখন পর্যন্ত ৫৬৬ জন মারা গিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

17h ago