লালমনিরহাটে ওএমএস এর চাল অপ্রতুল, খালি হাতে ফিরছেন অনেকেই

১০ টাকা দরে ওএমএস এর চাল না পেয়ে লালমনিরহাটে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বহু লোকজনকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে চাল না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওএমএস ডিলারদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটছে। এর জন অপ্রতুল সরবরাহকে দায়ী করছেন ডিলাররা।
লালমনিরহাট শহরের কলেজ বাজার এলাকায় ওএমএস এর চাল কিনতে লম্বা লাইন। ছবি: এস দিলীপ রায়

১০ টাকা দরে ওএমএস এর চাল না পেয়ে লালমনিরহাটে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বহু লোকজনকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে চাল না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওএমএস ডিলারদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটছে। এর জন অপ্রতুল সরবরাহকে দায়ী করছেন ডিলাররা।

লালমনিরহাট শহরের কলেজ বাজার এলাকার রিকশা চালকের স্ত্রী মেহেরুন বেগম (৪৪) বলেন, ‘তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পরও চাল কিনতে পারিনি। কিছু মানুষের কাছে চাল বিক্রি করে ডিলার বলছেন শেষ হয়ে গেছে।’

‘বাজারে চালের দাম বেশি। ওএমএস-এর চাল কেজিপ্রতি ১০ টাকা। সেজন্য এখানে এসেছি,’ তিনি জানান।

বানভাসি দিনমজুর সেকেন্দার আলী (৫৫) জানান, ওএমএস-এর চাল কেনার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করেও তিনি কিনতে পারেননি।

গত ৫ এপ্রিল থেকে লালমনিরহাট শহর এলাকায় ১২ জন ডিলারের মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

শহরের কলেজ বাজার এলাকার ওএমএস ডিলার আব্দুল মতিন জানান, ওএমএস ডিলাররা মাত্র ৮৩৪ কেজি করে সরবরাহ পাচ্ছেন বিক্রির জন্য। মাথাপিছু পাঁচ কেজি হিসেবে এই চাল মাত্র ১৬৬ জনের কাছে বিক্রি করা যায়। কিন্তু লাইনে দাঁড়ান হাজারের বেশি মানুষ।

তিনি আরও বলেন, ‘ডিলার পয়েন্ট খোলার দুই ঘণ্টা আগে থেকে লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। সবাইকে চাল দিতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই আমাদের গালিগালাজ করছেন।’

বানভাসিদের এলাকার ওএমএস ডিলার আব্দুর রহিম বলেন, তারা যে সরবরাহ পাচ্ছেন সেটি সপ্তাহে মাত্র তিন দিন রবি, সোম ও মঙ্গলবার। আগের তুলনায় চাহিদা বেড়েছে অনেক বেশি। চাল নিতে আসা লোকজন সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। পুলিশ তাদেরকে সতর্ক করেও সামলাতে পারছে না।’

সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইয়ুব আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ওএমএস ডিলার পয়েন্টে সপ্তাহে তিন দিন ১০ টাকা দরে মোট ১০ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। আর সপ্তাহের ছয় দিন মোট তিন মেট্রিক টন আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডিলারকে প্রতিদিন তিন টন করে চাউল দিতে পারলে আপাতভাবে চাহিদা মেটানো যাবে।

এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago