দেশে প্রতি ৯৩ হাজার মানুষের জন্য ১টি ভেন্টিলেটর: সেভ দ্য চিলড্রেনের উদ্বেগ

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশে ভেন্টিলেটরের অপর্যাপ্ততার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয় রোধে ভেন্টিলেটরের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশে ভেন্টিলেটরের অপর্যাপ্ততার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয় রোধে ভেন্টিলেটরের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার, সেভ দ্য চিলড্রেন অস্ট্রেলিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও ভেন্টিলেটরের সুবিধা রাজধানীসহ কয়েকটি প্রধান শহরে রয়েছে। ফলে, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে এগুলোর সুবিধা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭৬৯ টি ভেন্টিলেটর রয়েছে অর্থাৎ প্রতি ৯৩ হাজার ২৭৩ মানুষের জন্য ভেন্টিলেটর আছে গড়ে একটি।

এছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি। অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও স্যানিটেশন সুবিধার অভাবে সেখানকার ১০ লাখ মানুষ অত্যন্ত নিম্নমানের জীবন যাপন করে বলে জানায় তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এর সামাজিক সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করলে ভেন্টিলেটরের অভাবে জেলা পর্যায়ের অনেক মানুষ মারা যাবে।’

বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেন এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শামীম জাহান জানান, কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঘটলে সেটা বাংলাদেশের পক্ষে ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই দুর্যোগের মধ্যে আছি। কোনো দেশই এমনকি সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী দেশও একা কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তাই বিশ্ব নেতাদের বিশেষত জি২০ দেশগুলোর উচিত জরুরি ত্রাণ সরবরাহের জন্য একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া। আমরা একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকেও কোভিড-১৯ রোগীদের ভেন্টিলেটর সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার আহ্বান জানাই।’

সেভ দ্য চিলড্রেনের রোহিঙ্গা রেসপন্স অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার অ্যাথেনা রায়বার্ন জানান, কক্সবাজারে আইসিইউ সুবিধা না থাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ১৫০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে হতে পারে। এতে রোগীদের পাশাপাশি অন্যদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক সংক্রমণের সময় মানবিক বিপর্যয় রোধে জরুরি ভিত্তিতে ভেন্টিলেটর ও সেগুলো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী প্রয়োজন। রোহিঙ্গা শিশুরা একদিকে যেমন ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্য আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে অনাথ ও অবহেলিত হওয়ার আশঙ্কাও আছে।’

গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬৪, মারা গেছেন ১৭ জন।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago