প্রতি ৭২ ঘণ্টায় একটি ম্যাচ খেলবে মেসি-রামোসরা

সূচি মেলাতে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই ম্যাচ খেলতে মাঠে নামতে হবে লিওনেল মেসি-সার্জিও রামোসদের।
ছবি: এএফপি

ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে স্পেনে। আগের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। কমছে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও। তাতে আশায় বুক বেঁধেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। যদিও এর মধ্যে মূল্যবান অনেক সময়ই চলে গিয়েছে। সামনে কাটতে পারে আরও অনেক সময়। তাই শেষ মুহূর্তে বল মাঠে গড়ালেও পরবর্তী মৌসুমের আগে লিগ শেষ করা প্রায় অসম্ভব। তাই সূচি মেলাতে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই ম্যাচ খেলতে মাঠে নামতে হবে লিওনেল মেসি-সার্জিও রামোসদের।

মঙ্গলবার স্প্যানিশ ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশন (এএফই) ও লা লিগার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খেলা আবার চালু হলে প্রতি ৭২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর একটি করে ম্যাচ খেলবে লা লিগার দলগুলো। যদিও নির্দিষ্ট সময়ে এবারের মৌসুম শেষ হওয়া নিশ্চিত করতে আরএফইএফ চেয়েছিল প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় একটি ম্যাচ আয়োজন করতে। তবে সে প্রস্তাব মেনে নেয়নি এএফই।

মূলত খেলোয়াড়দের টানা খেলার ধকল ও ইনজুরির প্রবণতা থেকে মুক্ত রাখতেই আরএফইএফের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এএফই। শেষ পর্যন্ত তাই ৭২ ঘণ্টায় একটি করে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকতে হয় আরএফইএফকে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘এএফইর সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রতি ৭২ ঘণ্টায় একটি ম্যাচে খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএফইএফ।’

‘প্রেসিডেন্ট (লুইস) রুবাইয়ালেস মনিটরিং কমিটিকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ফুটবলারদের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। আরএফইএফের দেওয়া প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় ম্যাচ খেলার প্রস্তাব তারা ফিরিয়ে দিয়েছে। প্রতি ৭২ ঘণ্টায় একটি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে এএফই। যা লা লিগার সঙ্গে পূর্ববর্তী চুক্তিতে ছিল না,’ যোগ করে আরও জানিয়েছে সংস্থাটি।

স্পেনের অবস্থা খুব শিগগিরই পরিবর্তন হলেও আগামী মে মাসের আগে মাঠে বল গড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমনকি জুন, জুলাই কিংবা অগাস্টেও হতে পারে শুরু। স্পেনে তখন চলবে গ্রীষ্মকাল। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অল্প সময়ের ব্যবধানে ম্যাচ খেলা অনেকটাই কঠিন হবে খেলোয়াড়দের জন্য। এসব কথা বিবেচনা করে প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় ম্যাচ খেলতে রাজি হয়নি এএফই। স্বাভাবিকভাবে লা লিগার ম্যাচগুলো সপ্তাহ অন্তর অন্তর হয়ে থাকে।

আলোচনা শেষে একটি বিবৃতি দিয়েছে এএফইও, ‘এএফই তার কর্মীদের অধিকার নিয়ে লড়াই করেছে। প্রত্যেক কর্মীর ব্যক্তিগত অধিকারকে সম্মান জানাতে হবে যদি না প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোনো চুক্তি থেকে থাকে। ক্লাব এবং ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে শ্রম-সম্পর্ক নিয়ে ফিফারও কোনো আইনি ধারা নেই।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago