ইকার্দিকে পাকাপাকিভাবে রেখে দিচ্ছে পিএসজি!

গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলের ডেডলাইন ডেতে ইন্টার মিলান থেকে ধারে মাউরো ইকার্দিকে দলে টানে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তবে ইন্টার মিলানের সঙ্গে করা চুক্তিতে তাকে পাকাপাকিভাবে রেখে দেওয়ার শর্তে রেখেছে তারা।
ছবি: এএফপি

গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলের ডেডলাইন ডেতে ইন্টার মিলান থেকে ধারে মাউরো ইকার্দিকে দলে টানে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তবে ইন্টার মিলানের সঙ্গে করা চুক্তিতে তাকে পাকাপাকিভাবে রেখে দেওয়ার শর্তে রেখেছে তারা। এবার সে সুযোগটি কাজে লাগাতে যাচ্ছে ফরাসি ক্লাবটি। আগামী গ্রীষ্মে ইকার্দিকে পুরোপুরিভাবে দলে রাখতে চাইছে তারা। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে ইতালিয়ান গণমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্ত। এছাড়া বেশ কিছু ফরাসি গণমাধ্যমেও একই সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে এতদিন গুঞ্জন ছিল, আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ইকার্দিকে রেখে দেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয় পিএসজি। কিন্তু বর্তমানে সুর বদলেছে ক্লাবটি। ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের কারণে ট্রান্সফার উইন্ডো ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এছাড়া, দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার এদিনসন কাভানিও এর মধ্যেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী গ্রীষ্মে স্পেনের ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিচ্ছেন তিনি। তাই তার শূন্যতা পূরণ করতে ইকার্দিকে ধরে রাখতে হচ্ছে পিএসজিকে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইন্টারকে আর ৭০ মিলিয়ন ইউরো দিলেই পাকাপাকিভাবে পিএসজির হয়ে যাবেন ইকার্দি। ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো এর মধ্যেই তার এজেন্ট ও স্ত্রী ওয়ান্দা নারার সঙ্গে এ প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। সংবাদে আরও বলা হয়েছে, পিএসজি ইকার্দিকে ধরে না রাখলে, তাকে পেতে ইচ্ছুক ইন্টারের স্বদেশি প্রতিদ্বন্দ্বী জুভেন্টাস। তবে এর আগেই তারকা স্ট্রাইকারকে রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ফরাসি জায়ান্টরা।

গত মৌসুমে প্যারিসে ধারে আসা ইকার্দি দারুণ পারফর্ম করায় তার উপর অবশ্য সন্তুষ্ট পিএসজিকে। ২৭ বছর বয়সী খেলোয়াড় চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত মোট ৩১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। তবে পুরো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন কমই। সব মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার মিনিটও খেলতে পারেননি। তাতেই ২০টি গোল করেছেন তিনি। গোল করতে সহায়তাও করেছেন চারবার।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago