‘করোনা আক্রান্ত’ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা, বিজিবির টহল জোরদার
মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে আবারো দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন কক্সবাজারের বাসিন্দারা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে স্থানীয়রা রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছেন।
আজ শুক্রবার টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনর রশিদ সিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নাফ নদীতে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের মাধ্যমে এলাকাবাসী জানতে পারে, ১০ থেকে ১২ জন রোহিঙ্গা একটি নৌকায় নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। জেলেরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তারা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসছে। আরও অনেকে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) তাদের বাধা দিচ্ছে না।’
‘গতকাল এই তথ্য জানার পরে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীদের জড়ো করেন। পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমান পাড়া, রহমতের বিল, ধামনখালী ও বালুখালী এবং টেকনাফের উলুবনিয়া ও খারাইংগাঘোনা সীমান্তে রাতভর পাহারা দেন গ্রামের শত শত মানুষ’— বলেন হারুনর রশিদ সিকদার।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী একই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আনজুমান পাড়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে কয়েক শ রোহিঙ্গাকে অবস্থান করতে দেখে বাংলাদেশের জেলেরা। তাদের মাধ্যমে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে। তারা চিকিৎসার জন্য উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসতে চাচ্ছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে সীমান্তে অবস্থান নেন।’
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুলতান আহমদ বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মিয়ামনার থেকে করোনায় আক্রান্ত শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে।’
হোয়াইক্যং ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘পুলিশ এ বিষয়ে খুবই সতর্ক রয়েছে।’
কক্সবাজারে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘উখিয়া সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি দল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এমন তথ্য শুনেছি। আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে। নতুন করে কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
Comments