সিংগাইর লকডাউন, ৩ দিনেও ত্রাণ পৌঁছেনি জামির্তা ইউনিয়নে
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়ন এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হলেও গত তিন দিনে ত্রাণ পৌঁছেনি। গত ৭ এপ্রিল জামির্তা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই এলাকার দুস্থ ও কর্মহীন ব্যক্তিরা বলেন, কাজ নেই। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছে। লকডাউন থাকায় ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে। এই দুর্দিনে সরকার এখনো ত্রাণ সহায়তা দেয়নি। বাচ্চাদের খাবার আর ওষুধ বেশি জরুরি।
ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এক হাজার ব্যক্তির নামের তালিকা দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা পাননি।
জামির্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রাজু বলেন, ‘এখনো সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়নি। আমি আমার এলাকার জন্য এক হাজার ব্যক্তির নামের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দিয়েছি। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ব্যক্তিগতভাবে এক টন চাল দিয়েছেন, সেটা বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে।’
তবে ইউপি সদস্যরা দাবি করেছেন, চাল বিতরণের তথ্য তাদের জানা নেই। ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের অনেক রিকশা ও ভ্যানচালক, দিনমজুর আছেন। তাদের খুবই কষ্টে দিন কাটছে। ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাজাহান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু মানুষকে চাল, চাল দিয়েছি। তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।’
২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আমার এলাকায় ভোটার ১ হাজার ৮ শ জন। মোট জনসংখ্যা ৫ হাজারের উপরে। ইউনিয়ন পরিষদ যে এক হাজার জনের তালিকা করেছে, তার মধ্যে আমার এলাকার আছে মাত্র ১২৭ জন। সেই সহযোগিতা কবে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে তালিকা ধরে ধরে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। জামির্তা ইউনিয়নে কেন ত্রাণ যায়নি তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টে ১ জনের মৃত্যু
Comments